চসিকের ভূ সম্পত্তি কর্মকর্তা এখলাসুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, চসিকের দুইটি স্থায়ী গরুর বাজার ও একটি ছাগলের বাজার রয়েছে। এর মধ্যে সাগরিকা গরুর বাজার থেকে এবার ইজারা বাবদ পাওয়া গেছে ৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।
তিনি জানান, বড় পোল, পতেঙ্গা সিটি করপোরেশন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ ও স্টিলমিল বাজারে অস্থায়ী পশুর হাট না বসানোর ব্যাপারে পুলিশের অনুরোধ থাকায় এবার সেগুলো ইজারা দেওয়া হচ্ছে না।
এর বাইরে ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের বাটার ফ্লাই পার্কের পাশে একটি খালি মাঠ, করল মহাজন হাট ও সল্টগোলায় অস্থায়ী পশুর হাট বসানোর দরপত্র আহ্বান করেছে চসিক কর্তৃপক্ষ। আরেকটি অস্থায়ী হাট বসবে কর্ণফুলী গরুর বাজারে। এগুলোর দরপত্র বুধবার খোলা হবে।
চসিক সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি পশুর হাটে ক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের স্বার্থে আলোকায়নসহ নাগরিক সুবিধাদি নিশ্চিত করেছে চসিক। স্থায়ী ও অস্থায়ী পশুর হাট পরিচ্ছন্ন রাখতে ইজারাদারদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ থাকলেই ক্রেতা ও বিক্রেতা এসে পছন্দের গরু-ছাগল কিনতে পারবেন। প্রতিটি বাজারে একটি করে চিকিৎসক টিমও রাখা হবে, যাতে গবাদি পশুর হামলায় কেউ আহত হলে চিকিৎসাসেবা দেওয়া যায়। ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সার্বিক নিরাপত্তা বিধান, কোনো ধরনের চাঁদাবাজি বা হয়রানি দেখা গেলে কঠোরভাবে দমনের জন্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সক্রিয় থাকবে।
একজন ইজারাদার নাম প্রকাশ না করে বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিবছর কোরবানির কয়েকদিন আগে নগরের অলিগলিতে স্থানীয় প্রভাবশালীরা অনুমোদন ছাড়াই ছোট ছোট বাজার বসানোর প্রবণতা দেখা দেয়। এ ধরনের অবৈধ গরুর বাজারের জন্য কোটি কোটি টাকায় বৈধ পশুর হাট ইজারা নিয়ে লোকসান দিতে হয়। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা উচিত।
বাংলাদেশ সময়: ০৫২৬ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০২০
এআর/টিসি