ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

গাঁও-গেরামে এখন আমন ঘরে তোলার উৎসব

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৭
গাঁও-গেরামে এখন আমন ঘরে তোলার উৎসব ক্ষেতে ধান কাটতে ব্যস্ত কৃষক-কৃষিশ্রমিকেরা। ছবি: বাংলানিউজ

নীলফামারী: আমনের মাঠে মাঠে পুরোদমে চলছে ধান কাটা-মাড়াই। উৎসবের আমেজে ফুরফুরে মেজাজে কেটে ও মাড়াই শেষে সোনালী ধান ঘরে তুলছেন কৃষক, কৃষাণি ও কৃষিশ্রমিকরা। মজুদদার ও ফঁড়িয়ারাও ইতোমধ্যে নতুন ধান কিনতে শুরু করেছেন পুরোদমে।

নীলফামারী সদর, ডোমার, ডিমলা, জলঢাকা, কিশোরগঞ্জ ও সৈয়দপুর উপজেলার সর্বত্রও জোরেশোরে চলছে ধান কাটা-মাড়াই। এবারে আমনের বাম্পার ফলন আশা করছেন কৃষি বিভাগ ও কৃষকরা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ছোট-বড় প্রত্যেক গৃহস্থ-চাষি পরিবারেই এখন নতুন ফসল ঘরে তোলার কর্মব্যস্ততা। গ্রাম-গঞ্জের রাস্তা-ঘাট, বাড়ির উঠান, খোলা মাঠ- ময়দানে শুকানো হচ্ছে কেটে-মাড়াই করা ধান ও খড়।

তবে অনেক প্রান্তিক চাষির অভিযোগ, বন্যার পর সরকারিভাবে দেওয়া আমনের চারা না পেয়ে নিজেরা সংগ্রহ করে জমিতে লাগান তারা। চাষাবাদের শুরুতে অতি উচ্চসুদে ঋণ নিয়ে খরচ মিটিয়েছেন। এখন সে ঋণের টাকা শোধে ধান কেটে মাড়াই ও শুকিয়ে দাদন ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে দিতে হচ্ছে। ফলে তাদের কষ্টে ফলানো ক্ষেতের ধান চলে যাচ্ছে অন্যের গোলায়।

উৎসবের আমেজে কেটে ও মাড়াই শেষে সোনালী ধান ঘরে তুলছেন কৃষক, কৃষাণি ও কৃষিশ্রমিকরা।  ছবি: বাংলানিউজ ধান কাটা-মাড়াইয়ের কাজ নেওয়ায় শহরে রিকশা-ভ্যান চালাতে কম যাচ্ছেন গ্রামের লোকজন। শ্রম বিক্রি করতে ফসলের ক্ষেতে ব্যস্ত দিনমজুরদের শহরে আনাগোনা নেই বললেই চলে। যারা আগাম ধান কাটতে অন্য জেলায় গিয়েছিলেন, তারাও ফিরতে শুরু করেছেন।

তারপরও জেলায় কৃষিশ্রমিকের সংকট চলছে বলে জানিয়েছেন সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের কৃষক ছাবেদুল ইসলাম। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমন ধান কাটতে প্রতি বিঘা (৬০ শতাংশ) জমিতে প্রায় ৪ হাজার টাকা গুণতে হচ্ছে। একসঙ্গে ধান কাটা-মাড়াই শুরু হওয়ায় কেউ কেউ আগাম টাকা দিয়েও কৃষিশ্রমিক পাচ্ছেন না’।

কৃষিশ্রমিক আনিসুল হক বলেন, ‘আমরা ১৫ জন মিলে দল গড়ে ধান কাটা-মাড়াই করছি। প্রতিদিনই টানা কাজ করায় অনেককে সময় দিতে পারছি না’।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৭
এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।