ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বিনিয়োগকারীর পুঁজি দেড় হাজার কোটি টাকা নেই

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫১ ঘণ্টা, মার্চ ৩, ২০১৮
বিনিয়োগকারীর পুঁজি দেড় হাজার কোটি টাকা নেই

ঢাকা: তিন কার্যদিবস উত্থান আর দুইদিন দরপতনের মধ্যে দিয়ে আরো একটি সপ্তাহ (২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ০১ মার্চ) পার করেছে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।

অন্যদিকে দুইদিন উত্থান আর তিন কার্যদিবস দরপতনের মধ্যদিয়ে বিদায়ী সপ্তাহ পার করেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)।

গেল সপ্তাহে উভয় বাজারে কমেছে সূচক ও বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ফলে গত সপ্তাহে  কেবল ডিএসইর বিনিয়োগকারীদের পুঁজি নেই হয়েছে দেড় হাজার কোটি টাকার বেশি। তবে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকার ও পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর বিশেষ উদ্যোগের ফলে পুঁজিবাজারে দরপতন কিছুটা থেমেছে। তবে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এখনো আতঙ্ক রয়েই গেছে। তাদের আশঙ্কা, বাজার আদৌ কী ভালো হবে? ড়ত সপ্তাহে শেয়ার কেনার চেয়ে বিক্রি অর্ডার বেশি পড়ছে। এ কারণে সূচকে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ভাষার মাসের শেষ সপ্তাহে ৫ কার্যদিবসে ডিএসইতে মোট ৩৩৯টি কোম্পানির শেয়ারের লেনদেন হয়েছে। যা টাকার অংকে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮৬৭ কোটি ৯৪ লাখ ৮১ হাজার ১৬০ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৪৯৮ কোটি ৪৯ লাখ ৯৮ হাজার ৪৯৮ টাকা।

টাকার অংকে গত সপ্তাহে আগের সপ্তাহের চেয়ে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা বেশি লেনদেন হয়েছে। যা শতাংশের হিসেবে আগের সপ্তাহের চেয়ে ২৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ বেড়েছে। আর দৈনিক লেনদেন ৩৭৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৭৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকায়। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১১৩ টির, কমেছে ২০৩টির, অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছিল ৫৫টির, কমেছিল ২৭৭টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম। তিন সূচকে পথ চলা ডিএসইর প্রধান সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ৩৬ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৮৭০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।  

প্রধান সূচকের পাশাপাশি ডিএস-৩০ সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ১ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৬৮ পয়েন্টে। আর ডিএসইএস শরীয়াহ সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ৩ দশমিক ০৭ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৭২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এসবের ফলে ডিএসইতে বাজার মূলধন ১ হাজার ৭২৫ কোটি ৬ লাখ ২ হাজার ১৫৯ টাকা কমে ৪ লাখ ৭ হাজার ৮৪৬ কোটি ৪৫ লাখ ৬৬ হাজার ২৯২ টাকায় দাঁড়িয়েছে।  

একইভাবে অপর বাজার সিএসইতে পুঁজি হারিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। বিদায়ী সপ্তাহে সিএসই-তে লেনদেন হয়েছে ৮৮ কোটি ৯৮ লাখ ৩০ হাজার ৩৫ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১২৯ কোটি ৭৯ লাখ ৮ হাজার ৯২৪ টাকা। সিএসই’র প্রধান সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ১০৮ পয়েন্ট কমে ১০ হাজার ৯১১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
 
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৬২টির, কমেছে২০০টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১২ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৬৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০১৮
এমএফআই/এমএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।