বুধবার (১৩ জুন) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা সৈয়দ এ মু’মেনের পাঠানো এক বিবৃতিতে এমনটা জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বিদেশ থেকে পাঠানো রেমিট্যান্সের উপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট আরোপিত হয়েছে মর্মে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে।
দেশের বৈধ রেমিট্যান্স প্রবাহ বন্ধ করে হুন্ডির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণের অপপ্রয়াস হিসাবে এ প্রচারণা চালানো হতে পারে বলে মনে করে এনবিআর।
মূল্য সংযোজন কর আরোপিত হয় পণ্য বা সেবা সরবরাহের উপর। প্রবাসীরা দেশের বাইরে কঠোর শ্রমে যে সেবা দিয়ে থাকেন তার বিনিময়ে বৈদেশিক মুদ্রা আহরিত হয়। এ সম্পূর্ণ কার্যক্রম মূল্য সংযোজন কর আইন, ১৯৯১ এর ধারা ৩ এর উপ-ধারা ২(ক) মোতাবেক সেবা রপ্তানি হিসেবে বিবেচিত।
সুতরাং এ রপ্তানি কার্যক্রম ভ্যাটের আওতা বহির্ভূত। অর্থাৎ রেমিট্যান্স সীমা নির্বিশেষে এ খাতের উপর কোনো ভ্যাট প্রযোজ্য নয়। তাই প্রবাসীরা বৈধ ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে যে কোনো পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা বা রেমিট্যান্স পাঠাতে পারেন।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, অবৈধ চ্যানেল বা হুন্ডির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা বা রেমিট্যান্স করা হলে তা জাতীয় অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখতে পারে না। তাই হুন্ডির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা বা রেমিট্যান্স পাঠানো থেকে বিরত থাকার জন্য সবাইকে অনুরোধ করা হচ্ছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড হুন্ডি বা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধের বিষয়ে সবসময় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে ওই বিবৃতি জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৬ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৮
এমএ/