একইসঙ্গে বেলজিয়ামের উদ্যোক্তাদের পাট ও পাটজাত পণ্য, তৈরি পোশাক, হোম টেক্সটাইল, জাহাজ নির্মাণ, ফার্মাসিউটিক্যাল, কৃষি ও কৃষিজাত পণ্য প্রক্রিয়াকরণ, চামড়া ও পাদুকা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, অবকাঠামো, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ এবং বিশেষ করে সমুদ্র বন্দর ব্যবস্থাপনায় উন্নয়ন প্রভৃতি খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) ঢাকা চেম্বারের কার্যালয়ে ভারতে নিযুক্ত বেলজিয়ামের রাষ্ট্রদূত ফ্রাসোয়া ডেল হাই এর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে ডিসিসিআইয়ের সভাপতি এ আহ্বান জানান।
এসময় ঢাকা চেম্বারের সহ-সভাপতি ওয়াকার আহমদ চৌধুরী, সহ-সভাপতি ইমরান আহমেদ, বেলজিয়াম দূতাবাসের ইকোনোমিক কাউন্সিলর গিলেম শকে এবং ব্যবসা ও বিনিয়োগ বিষয়ক কমিশনার হিউবার্ট গোফিনে উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি ওসামা তাসীর বেলজিয়ামের রাষ্ট্রদূতকে ডিসিসিআইতে আসার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশ ও বেলজিয়ামের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল প্রায় ৮২১ দশমিক ০৪৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। একইসঙ্গে এটি দু’দেশের জনগণের দ্রুততম সময়ে ভিসাপ্রাপ্তিসহ অন্য সেবা নিশ্চিত করবে।
বেলজিয়ামের রাষ্ট্রদূত ফ্রাসোয়া ডেল হাই বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের অনেক সম্ভাবনাময় খাত রয়েছে। বেলজিয়ামের উদ্যোক্তারা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, বন্দর স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা, ড্রেজিং, পাট ও পাটজাত পণ্য, কৃষি ও কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াকরণ প্রভৃতি খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী।
তিনি জানান, বাংলাদেশে বেলজিয়ামের বিনিয়োগ সম্প্রসারণের জন্য এ বছরের শেষ নাগাদ বেলজিয়ামের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করবে।
রাষ্ট্রদূত বেলজিয়ামসহ ইউরোপের অন্য দেশে বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের বাজার সম্প্রসারণে ঢাকা চেম্বার থেকে প্রতিনিধি দল পাঠানোর প্রস্তাব করেন।
তিনি বলেন, বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে টিকে থাকার জন্য গবেষণা ও উদ্ভাবন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বেলজিয়ামের উদ্যোক্তারা বাংলাদেশে নতুন নতুন পণ্য উদ্ভাবনে গবেষণা পরিচালনা, প্রযুক্তির সম্প্রসারণে সহায়তা দিতে পারে। এ ধরনের প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে আরো বেশি হারে বিনিয়োগ করলে, স্থানীয় জনগণের দক্ষতা বাড়ার পাশাপাশি বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণ ও বাজার সম্প্রসারণ হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৯
জিসিজি/এএ