মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাজধানীর বিসিআইসি সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ পরামর্শ দেন মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, শিল্পসচিব মো. আবদুল হালিম এবং বিসিআইসি’র চেয়ারম্যান মো. হাইয়ুল কাইয়ুম বক্তব্য রাখেন।
শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ বলেন, অতীতের অভিজ্ঞতার আলোকে উৎপাদন ক্ষমতার সর্বোচ্চ ব্যবহার ও প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে আধুনিকায়নের উদ্যোগ নিয়ে এগুলোকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে হবে। রাষ্ট্রের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিজ নিজ দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালনের পরামর্শ দেন তিনি। একই সঙ্গে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) আওতাধীন ১৩টি প্রতিষ্ঠানকে লাভজনক করতে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা, সততা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে অর্পিত দায়িত্ব পালনের জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকদের প্রতি আহ্বান জানান।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, বিশ্বায়নের প্রতিযোগিতায় সাফল্যের সঙ্গে টিকে থাকতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য রাষ্ট্র গড়ে তোলা সবার দায়িত্ব। এ লক্ষ্যে সবাইকে দেশপ্রেমের সঙ্গে কাজ করতে হবে। জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান সাধারণ মানুষের হৃদস্পন্দন বুঝতে পারতেন বলেই তিনি ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন। তার নেতৃত্বের গুণাবলী ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ববরেণ্য নেতায় পরিণত হয়েছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়ক ধরে এগিয়ে চলছে।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে দেশের ষোলো কোটি মানুষের বত্রিশ কোটি হাতকে উন্নয়ন ও উৎপাদনের কাজে লাগাতে হবে। এ লক্ষ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প কারখানার শ্রমিক ইউনিয়ন নেতাদের নিয়মিত কাজ করতে হবে এবং সাধারণ শ্রমিকদের সামনে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। প্রশাসনিক কাজে ট্রেড ইউনিয়ন নেতাদের অবৈধ হস্তক্ষেপ মেনে নেওয়া হবে না বলে তিনি হুঁশিয়ার করেন। তিনি রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের গাড়ি অবৈধভাবে ব্যবহার কিংবা আন্দোলনের নামে উৎপাদন ব্যাহত করার মতো যেকোনো অনিয়ম মোকাবেলায় বিসিআইসি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে কঠোর হওয়ার নির্দেশনা দেন। একইসঙ্গে তিনি কারখানা পর্যায়ে শ্রমিকদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে অস্থায়ী পদে কর্মরতদের পদ স্থায়ীকরণের ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এর আগে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দ্যা বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের এক প্রতিনিধি দল শিল্পমন্ত্রী এবং শিল্প প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে পৃথকভাবে তাদের দপ্তরে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতে তারা শিল্পখাতে দ্বিপাক্ষিক সহায়তার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। এ সময় প্রতিনিধিদলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশকে এরইমধ্যে ‘হাই লাইটেড কান্ট্রি’ হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। তারা ভারতে অনুষ্ঠেয় ‘ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল মেগা ট্রেড ফেয়ার ২০১৯’-এ অংশগ্রহণের জন্য শিল্পমন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানান।
বাংলাদেশকে আসন্ন মেলায় ‘হাই লাইটেড কান্ট্রি’ হিসেবে মনোনীত করায় শিল্পমন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রী প্রতিনিধি দলকে ধন্যবাদ জানান। তারা এ মেলায় অংশ নিতে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন। এ সময় দ্যা বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর বিপণন বিভাগের সচিব উৎপল রায়সহ শিল্প মন্ত্রণালয়েল ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪২ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৯
জিসিজি/জেডএস