দুদকের লোগো
ঢাকা: সাবেক দি ফারমার্স ব্যাংকের পরিচালক ও অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী ওরফে বাবুল চিশতীসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন (চার্জশিট) অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের উপ-পরিচালক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য জানান, বাবুল চিশতী ব্যাংক কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় তার নিজ নামে, তার পরিবারের সদস্যদের নামে ও তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে ফারমার্স ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় সর্বমোট ২৫টি হিসাব খোলেন।
পরবর্তীতে ওই হিসাবগুলোর মাধ্যমে ব্যাংক ব্যবস্থাপকদের সহায়তায় অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ব্যাংকিং নিয়মাচারের তোয়াক্কা না করে বিভিন্ন সময়ে গ্রাহকদের হিসাব থেকে পাঠানো মোট ১৫৯ কোটি ৯৫ লাখ ৪৯ হাজার ৬৪২ টাকা স্থানান্তর, হস্তান্তর ও লেয়ারিং এর মাধ্যমে হিসাবগুলোতে গ্রহণ করে কিংবা নিজেদের নামে কেনা ব্যাংকের শেয়ারের মূল্য পরিশোধের মাধ্যমে সন্দেহজনক লেন-দেন করেন।
যা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় সোমবার মো. মাহবুবুল হক চিশতী ওরফে বাবুল চিশতী, সাবেক চেয়ারম্যান, অডিট কমিটি, দি ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেড, রাশেদুল হক চিশতী, পিতা: মো. মাহবুবুল হক চিশতী, নিউ ডিওএইচএস, মহাখালী, ঢাকা, রুজী চিশতী, স্বামী: মো. মাহবুবুল হক চিশতী, নিউ ডিওএইচএস, মহাখালী, ঢাকা, জিয়া উদ্দিন আহমেদ, সাবেক এসভিপি (বর্তমানে চাকরিচ্যুত), দি ফারমার্স ব্যাংক, মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান খান, ফার্স্ট প্রেসিডেন্ট (বর্তমানে চাকরিচ্যুত), দি ফারমার্স ব্যাংক লি., বকশীগঞ্জ শাখা, জামালপুর এর বিরদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে কমিশন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দুদক উপ-পরিচালক মো. সামছুল আলম এ বিষয়ে শিগগিরই সংশ্লিষ্ট আদালতে চার্জশিট দাখিল করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০১৯
আরএম/এএ
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।