তিনি বলেন, আমাদের কৃষিখাতে প্রয়োজন আধুনিক প্রযুক্তি। পাশাপাশি বাণিজ্যিক কৃষিখাতকে বাণিজ্যিক করতে এক্ষেত্রে প্রয়োজন বিনিয়োগ, খাদ্য প্রক্রিয়াজাত, রফতানি ও মূল্য সংযোজন।
এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র সরকার বাংলাদেশের সহায়তায় এগিয়ে আসবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ে কৃষিমন্ত্রীর অফিস কক্ষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি অ্যাসিসট্যান্ড ট্রেড রিপ্রেজেনটিভ ফর সাউথ অ্যান্ড সেন্টারাল এশিয়ান এফেয়ার এর জেবা রেয়াজউদ্দীনের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতকালে এ আহ্বান জানান তিনি।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, তুলা চাষিদের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বর্তমান হাইব্রিড সিব প্রবতর্নের মাধ্যমে চাষি পর্যায়ে তুলা চাষের ব্যপক সাড়া পড়েছে। যদিও আমরা তুলা আমদানিকারক দেশ। দেশে বর্তমানে আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে আনার জন্য উপকূলীয় অঞ্চলে এমন কি রবি মৌসুমে আমন ধান কাটার পরে তুলা চাষ করা হয়।
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এ বন্ধন হবে অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ অর্থ ও ভ্রাতৃত্বসুলভ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বহুমাত্রিকভাবে বাংলাদেশকে সাহায্য সহযোগিতা করতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা আমাদের যেমন প্রয়োজন তেমনি ভূ-রাজনৈতিক কারণে তাদের এ সম্পর্কে উন্নত রাখতে হবে। বাংলাদেশের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক ১৯৪৯ সাল থেকে। বাংলাদেশের বৃহত্তম রফতানি বাজার হলো যুক্তরাষ্ট্র।
মন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের জোরদার অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। এর অন্যতম প্রধান মাধ্যম হচ্ছে কৃষি। বাংলাদেশ ও আমেরিকার সম্পর্কের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক। আর এই দুইয়ের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে কৃষি। বাংলাদেশের প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগকারী রাষ্ট্রও যুক্তরাষ্ট্র।
প্রতিনিধিরা জানান, আমেরিকা অনেক উন্নতমানের তুলা উৎপন্ন করে। সম্প্রতি কৃষিতে বাংলাদেশের সাফল্যে তারা উচ্ছ্বসিত এবং বাংলাদেশের কৃষির উন্নয়নে পাশে থাকতে চায়।
প্রতিনিধিদলের আরও উপস্থিত ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি ট্রেড রিপ্রেজেনটিভ এরল্যান্ড হরফিন্দাহী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেডমার্ক অফিসের লিগাল কাউনসিলর শিল্পি ঝা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষিবিভাগের এন্ড্রু হোকাল্টার প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৯
জিসিজি/এএটি