রোববার (৫ মে) ঢাকার অস্ট্রেলিয়া হাইকমিশন ও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) যৌথ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে আরও বলা হয়, বেটার ওয়ার্ক বাংলাদেশ (বিডব্লিউবি) আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সহযোগিতার একটি যৌথ প্রোগ্রাম।
অস্ট্রেলিয়ার নারী এবং মেয়ে বিষয়ক রাষ্ট্রদূত শারমান স্টোন তার বাংলাদেশ সফরের সময় বলেন, জুন ২০২০ সাল পর্যন্ত এ প্রকল্পে সহায়তা করার আমাদের প্রতিশ্রুতি প্রমাণ করে যে অস্ট্রেলিয়া শিল্প নিরাপত্তা, শ্রম আইন সুশাসন এবং বাংলাদেশে নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে বিশ্বাসী।
অস্ট্রেলিয়া সরকার এবং অন্যান্য দাতা সংস্থার সমর্থন বিডব্লিউবিকে সাহায্য করছে নারীর ক্ষমতায়নে, যৌন নির্যাতন হ্রাস করতে এবং নারী-পুরুষে মজুরির পার্থক্য কমাতে। এ প্রকল্প নারীদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা ও নিজেদের কন্ঠ সোচ্চার করতে, শ্রমিক-মালিক কমিটিতে, ইউনিয়ন এবং কর্মী সংস্থায় নারীদের অংশগ্রহণে সহায়তা করে। বিডব্লিউবি সমন্বিত কারখানাগুলোতে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৯৬ হাজার ১৮৫ জন শ্রমিক ভোট দিয়ে ১ হাজার ১২১ জন শ্রমিক প্রতিনিধি নির্বাচিত করেছেন। যাদের মধ্যে ৪২ শতাংশ নারী। ৭৮টি নিরাপত্তা কমিটি গঠন করা হয়েছে। যার ৫৮৬ জন প্রতিনিধির মধ্যে ২০৭ জন নারী।
বিডব্লিউবি তৈরি পোশাক কারখানাগুলোকে উপদেশ দেওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে শ্রম আইন উন্নত করতে এবং ব্র্যান্ডগুলোর সঙ্গে একসঙ্গে উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে কাজ করছে। বিডব্লিউবির সঙ্গে কাজ করার ফলে কারখানাগুলো আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার মূল শ্রম মানদণ্ড এবং জাতীয় আইনের ক্ষতিপূরণ, চুক্তি, পেশাগত নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য এবং কাজের সময় সংক্রান্ত বিষয়গুলোর কমপ্লায়েন্সে ধীরে ধীরে উন্নতি করেছে। এর ফলে উল্লেখযোগ্যভাবে কারখানার পরিবেশ এবং একইসঙ্গে কারখানার উৎপাদনশীলতা এবং লাভ বেড়েছে।
বেটার ওয়ার্ক বাংলাদেশের জন্য অস্ট্রেলিয়ার চলমান সহায়তা পোশাক শিল্পের নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনছে। বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ান হাই কমিশনার মিস জুলিয়া নিবলেট বলেন, বাংলাদেশ সরকারের সমন্বয়, ইউনিয়ন এবং কর্মী সংস্থাগুলোর আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সমর্থিত ‘রেমিডেশন কো-অর্ডিনেশন সেল, দ্য অ্যাকর্ড অন ফায়ার অ্যান্ড বিল্ডিং সেফটি’ এবং অ্যালায়েন্স সমর্থিত ‘নিরাপন উদ্যোগ,’ পোশাক শিল্পকে দৃঢ় করবে।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পুটিনিয়ান বলেন, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা গর্বিত অস্ট্রেলিয়ান সরকারের সঙ্গে কাজ করতে পেরে যারা বিভিন্ন অংশীদারদের একত্রে করার, সবার জন্য কাজের প্রসার করা এবং বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের উন্নয়ন করার আমাদের এ দৃষ্টি ভাগাভাগি করে নিয়েছে। বেটার ওয়ার্কস লাখো শ্রমিকদের ও তাদের পরিবারের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রেখেছে। এখন আমাদের চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, এ প্রভাব আরও অনেক দূরে নিয়ে যাওয়া। আমাদের চেষ্টা এবং অভিজ্ঞতার মাধ্যমেই কেবলমাত্র আমরা এ শিল্পে দীর্ঘস্থায়ী পরিবর্তন আনতে পারি।
আইএফসি কান্ট্রি ম্যানেজার (বাংলাদেশ, ভুটান এবং নেপাল) ওয়েন্ডি ওয়ের্নার বলেন, জিইএআর, বেটার ওয়ার্ক বাংলাদেশের নতুন প্রশিক্ষণ প্রকল্পের মাধ্যমে নারী সেলাই পরিচালনাকারীদের পেশাগত অগ্রগতির জন্য আইএফসি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সঙ্গে অংশীদারিত্বে। অস্ট্রেলিয়ান সরকারের সমর্থনে আমরা নেতৃত্ব পর্যায়ে মজুরি বৈষম্য কমিয়ে আনতে এবং তৈরি পোশাক শিল্পে নারীদের জন্য সুযোগ তৈরি করার কাজ অব্যাহত রাখবো। যারা বাংলাদেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০১৯
টিআর/আরবি/