সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রতিবেশী দেশ ভুটানের বাজারে নিয়মিত রফতানি হচ্ছে নোয়াহ্ গ্রুপের পণ্য। চলতি বছরের শুরু থেকে ভারতেও রফতানি হচ্ছে এখানকার উৎপাদিত পণ্য।
ভারতে নোয়াহ্ পণ্যের রফতানির প্রেক্ষাপট তুলে ধরতে গিয়ে ওই শিল্প পরিবারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজকুমার পোদ্দার বাংলানিউজকে জানান, ইতোপূর্বে ভারতীয় তৈজসপত্র ছেয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের বাজার। পরে তৈজসপত্র তৈরিতে আমরা সক্ষমতা অর্জন করেছি। দেশের বেশকিছু প্রতিষ্ঠান এখন উন্নতমানের প্রেসার কুকার, ননস্টিক, ফ্রাইপ্যান ও অন্যান্য তৈজসপত্র তৈরি করছে। তিনি বলেন, গত ১০ বছর ধরে কোলকাতা ও দিল্লীতে আয়োজিত বাণিজ্য মেলায় নোয়াহ্ গ্রুপ অংশ নেয়। সেখানে লক্ষ্যণীয় ছিল ভারতীয় ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। ভারতীয় গৃহিণীরা আমাদের স্বাগত জানিয়েছেন। ফলে তাদের বাজারে প্রবেশ করা সহজতর হয়েছে।
রাজকুমার পোদ্দার আরও জানান, এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছিলেন শুধু গার্মেন্টস নয়, অন্যান্য পণ্যও রফতানি করতে চাই আমরা। প্রধানমন্ত্রীর ওই কথায় আমরা উৎসাহ পেয়েছিলাম। নোয়াহ্ চলতি বছরের শুরু থেকে একটি করে চালান পাঠিয়েছে ভারতে। এ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি ৫০ হাজার ডলারের পণ্য রফতানি করেছে। দিন দিন চাহিদা বাড়ছে তাই রফতানিও বাড়বে বলে তিনি আশাবাদী।
সরেজমিনে কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল সংলগ্ন এলাকায় কারখানায় গেলে দেখা যায় ১২টি ইউনিটে চলছে বিশাল কর্মযজ্ঞ। তৈরি হচ্ছে প্রেসার কুকার, অ্যালুমিনিয়াম হাড়ি-পাতিল, ননস্টিক, ফ্রাইপ্যান, গ্যাসের চুলা আরও কত কী? কোম্পানিটিতে ৮০০ শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করছেন। এর অর্ধেকেই নারী। রয়েল্যাক্স মেটাল ইন্ডাস্ট্রির সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মাহমুদ চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, বর্তমানে আমাদের প্রতিদিন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৬০০ প্রেসার কুকার, ৫০০ ননস্টিক ফ্রাইপ্যান, এক হাজার তৈজসপত্র। এছাড়াও বিপুল পরিমাণ অ্যালুমিনিয়াম সামগ্রী তৈরি হচ্ছে। চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদনও বাড়ানো সম্ভব। তবে সাম্প্রতিক সময়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী চীন থেকে নিম্নমানের তৈজসপত্র আমদানি করে ভারতীয় হাওকিন ও প্রেস্ট্রিজ প্রেসার কুকারের স্টিকার লাগিয়ে বাজারজাত করছেন। এতে করে দেশীয় শিল্প হুমকির মুখে। প্রতারিত হচ্ছেন ক্রেতা সাধারণ। অবৈধ এসব পণ্যের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর পদক্ষেপ দাবি করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৩ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১৯
এসএইচ