সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবীর করা রিটের প্রাথমিক শুনানির পর সোমবার (০৮ জুলাই) বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
তিন সপ্তাহের মধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব এবং লেজেসলেটিভ ও ড্রাফটিং বিভাগের সচিবকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
ব্যভিচার (পরকীয়া) সংক্রান্ত দণ্ডবিধির ৪৯৭ ধারা সংশোধনের নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান এ রিট দায়ের করেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার অনীক আর হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
রিট আবেদনে বলা হয়, দণ্ডবিধির ৪৯৭ নম্বর ধারাটি সংবিধানের ২৭, ২৮ ও ৩২ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এতে নারী ও পুরুষকে আলাদাভাবে বিবেচনা করা হয়েছে। এটা সংশোধন প্রয়োজন।
দণ্ডবিধির ৪৯৭ ধারায় বলা হয়েছে, ‘যদি কোনো ব্যক্তি অন্য কোনো ব্যক্তির স্ত্রী অথবা যাকে সে অন্য কোনো ব্যক্তির স্ত্রী বলে জানে বা তার অনুরূপ বিশ্বাস করার কারণ রয়েছে এমন কোনো ব্যক্তির সঙ্গে উক্ত অন্য ব্যক্তির সম্মতি ও সমর্থন ব্যতিরেকে এরূপ যৌনসঙ্গম করে যা নারী ধর্ষণের সামিল নয়, সে ব্যক্তি ব্যভিচারের অপরাধে দোষী এবং যেকোনো বর্ণনার কারাদণ্ড যার মেয়াদ ৫ বছর পর্যন্ত হতে পারে বা অর্থদণ্ডে বা উভয়দণ্ডে দণ্ডনীয় হবে। অনুরূপ ক্ষেত্রে স্ত্রী লোকটি দুষ্কর্মের সহায়তাকারী হিসেবে দণ্ডিত হবে না। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০২৮ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০১৯
ইএস/জেডএস