শনিবার (১০ আগস্ট) রাজধানীর কাওরান বাজারের কামারপট্টিতে গিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে।
ক্রেতারা জানিয়েছেন, গতবছর কোরবানির ঈদের তুলনায় এবছর প্রতিকেজি লোহায় কামারেরা ২০০ টাকা বেশি নিচ্ছেন।
মিরপুর কাজীপাড়া থেকে ছুরি চাকু নিতে এসেছেন শাহিন আলম। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, প্রতিবছর এখান থেকে ছুরি চাকু কিনি এবং পুরানগুলো ধার দিয়ে নিয়ে যাই। এখানকার ব্যবসায়ীরা এই সময়টার সুযোগে থাকেন। অন্যান্য সময়ের তুলনায় এই সময়ে অস্বাভাবিক দাম হাঁকেন তারা। কোরবানির ঈদ আসলেই তারা মানুষকে ঠেকিয়ে ব্যবসা করেন।
দাম বাড়ার কথা স্বীকার করে মা জননী ভোলা কর্মশালা স্টোরের মো. সুমন বাংলানিউজকে বলেন, আগের তুলনায় প্রতিকেজি লোহায় ১০০ টাকা করে দাম বেড়েছে। অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে কয়লার দাম। আগে যে কয়লা ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা বস্তায় কিনে আনতাম। সেটি এখন হাজার ১৮০০ থেকে ২০০০ টাকা আনতে হয়। তারপরও কয়লার মান ভালো না।
‘এছাড়া সারাবছর লস দিয়ে ব্যবসা করতে হয়। এই সময়টায় একটু বেচা-কেনা হয় বলে ব্যবসা করে টিকে আছি আমরা। ’
তিনি বলেন, মানুষ সারা বছর এগুলো কেনেন না তাই তাদের কাছে সামান্য দাম বাড়াটাকে অস্বাভাবিক মনে হচ্ছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচা লোহা দিয়ে তৈরি চাপাতি ৩০০ টাকা এবং পাকা লোহা দিয়ে তৈরি চাপাতি ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ছোট ছুরি ৫০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, গরু জবাইয়ের ছুরি ৩০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১২০০টাকা পিস এবং খাসি জবাইয়ের ছুরি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত বছর প্রতি পিস ও কেজিতে ১০০ থেকে ২০০ টাকা কমে কেনা গেছে। তাই দাম বাড়াকে অস্বাভাবিক বলছেন ক্রেতারা।
এ ব্যাপারে কাওরান বাজার কামারপট্টি ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, কয়লার দাম বাড়া ও কর্মচারী বেতন বোনাসের বিষয় রয়েছে। তাই জিনিসপত্রের দাম তো বাড়ছে। তবে তা বেশি নয়।
তিনি বলেন, দাম একটু বেশি হলেও আমাদের তৈরি জিনিসগুলো মান অত্যন্ত ভালো। এগুলো একবার কিনলে আট থেকে দশ বছর ব্যবহার করা যায়। কিন্তু কম দামে চায়না জিনিস কিনে ওয়ান টাইম ব্যবহার হবে এবং এটির মান তেমন ভালো নয় তাই ভালো জিনিস পেতে হলে একটু দাম বেশি হওয়াই স্বাভাবিক।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৯
এসএমএকে/এমএ