বন্দর সূত্রে জানা যায়, অগ্নিকাণ্ডের ফলে ওই শেডে আমদানিকরা কেমিক্যাল পণ্য পুড়ে যায়। এ সময় বন্দরের নিজস্ব ফায়ার ইউনিট, বন্দরের শ্রমিকরা একযোগে কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণের আনে।
৩৫ নম্বর শেডের ইনচার্জ মনির হোসেন বলেন, এখানে লিকুইড কেমিক্যাল ছিল। কীভাবে এই কেমিক্যাল পণ্যে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা তদন্ত না করে বলা যাবে না। কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তাও এ মুহূর্তে বলা সম্ভব হচ্ছে না।
বেনাপোল বন্দরের শ্রমিকরা বলেন, হঠাৎ কেমিক্যাল স্টোর (গোডাউন) ৩৫ নম্বর শেডে আগুন দেখতে পাই। তখন আমরা গ্যাস ব্যবহার করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করি। এরপর বেনাপোল স্থলবন্দরের নিজস্ব ফায়ার ইউনিট এসে কাজ শুরু করে। কিছু সময় পর বেনাপোল ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট এসে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন।
স্থলবন্দরের পরিচালক প্রদোষ কান্তি দাস বাংলানিউজকে বলেন, আগুন এখন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে। কীভাবে আগুন লেগেছে তা তদন্ত না করে কিছু বলা যাবে না। এরজন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। আগুন লাগার ঘটনাটি বন্দর চেয়ারম্যানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। তদন্ত শেষে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।
বেনাপোল ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ সুমন হোসেন বলেন, বেনাপোল বন্দরের ৩৫ নম্বর শেডের আগুন আধাঘণ্টার মধ্যে নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা এ মুহূর্তে বলঅ যাচ্ছে না।
নামপ্রকাশ না করার শর্তে বেনাপোল বন্দর ব্যবহারকারী একজন সদস্য বলেন, বার বার বন্দরে আগুন লাগা একটি নাটক। বন্দরের শেড ইনচার্জরা পণ্য চুরি করে যখন বুঝিয়ে দিতে না পারেন তখন তারা কৌশলে আগুন ধরিয়ে দেন, এর দায় এড়ানোর জন্য। এর আগেও কয়েকবার এই বন্দরে নাটকীয়ভাবে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৯
এসএইচ