বাদাম চাষে ঝুঁকি কম, উৎপাদন খরচ নাগালের মধ্যে হওয়ায় এবং চলতি বছরে বোরো ধানের তেমন মূল্য না পাওয়ায় চরম হতাশায় দিন কাটিয়েছেন জেলার সব চাষিরা। কিন্তু এবার ব্যাপকভাবে বাদাম চাষ এবং বাম্পার ফলন হলেও দাম ভালো পাওয়া যাচ্ছে।
সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে জানা যায়, পঞ্চগড়ের বাদাম ক্রয়ের জন্য টাঙ্গাইল, ভৈরব, নোয়াখালী থেকে পাইকাররা এসেছেন। যে যার মতো সাধ্যমত ক্রয় করছেন বাদাম। এদিকে এবারে বিঘাপ্রতি ৫ থেকে ৬ মণ বাদাম উৎপাদন হয়েছে। প্রতিমণ বাদাম ৩১শ’ থেকে ৩২শ’ টাকা দরে বিক্রি করতে পেরে খুশি চাষিরা।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার সাতমেড়া এলাকার বাদাম চাষি জব্বার মিঞ্জা বাংলানিউজকে বলেন, বোরো ধানের মৌসুমে আমরা বোরোর ন্যায্য দাম না পাওয়ায় প্রায় নিঃস্ব হয়ে পড়েছিলাম। কিন্তু এবার বাদামের বাম্পার ফলন ও ভালো দাম পাওয়ায় আমরা ধানের কিছুটা হলেও ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পেরেছি।
রফিকুল নামে আরেক চাষি বাংলানিউজকে বলেন, আবহাওয়া আরও কিছুটা ভালো থাকলে হয়তো বাদামের ফলন আরও বেশি হতো।
পঞ্চগড়ে বাদাম ক্রয় করতে আসা ভৈরবের পাইকার আনোয়ার বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিবছরই এখান থেকে বাদাম ক্রয় করি। কিন্তু এখানকার এবারের দৃশ্য ভিন্ন। গত বছরের চেয়ে প্রায় দ্বিগুন দামে কিনতে হচ্ছে বাদাম। চাষিরা ভালো দাম পাচ্ছে। বাদামের চাহিদা থাকায় আমরাও বাদাম কিনে অন্যত্র বিক্রি করে ভালো লাভবান হচ্ছি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা আবু হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, এবছর পঞ্চগড়ে প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে বাদামের চাষ হয়েছে। আবহাওয়া কিছুটা অনুকূলে না থাকায় ফলনে সামান্য ব্যাঘাত হয়েছে। তবে এবার দাম ভালো পাওয়ায় আগামীতে এ বাদাম চাষে আরও আগ্রহ বাড়বে চাষিদের।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৯
এসআরএস