এ ঘটনায় কীটনাশক ব্যবহার করা নিয়ে বর্গাচাষি ও কীটনাশক ডিলার পরস্পরকে দোষারোপ করছেন।
সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে নাচোল উপজেলার কসবা ইউনিয়নের মধ্য কালইর গ্রামে।
উপজেলার কসবা ইউনিয়নের কালইর মৌজার সাড়ে ৭ বিঘা ধানী জমির মূল মালিক চাঁপাইনবাবগঞ্জের পাঠানপাড়ার মৃত সেতাব উদ্দীনের ছেলে সিরাজউদ্দীন। ওই জমির বর্গাচাষি হচ্ছেন মধ্য-কালইর গ্রামের মৃত আবতাব উদ্দিনের ছেলে আলাউদ্দীন।
আলাউদ্দিন জানান, প্রায় ২৫ দিন আগে থেকে তিনি একই গ্রামের মেসার্স আবু বাক্কারের কীটনাশকের দোকান থেকে জেনারেল এগ্রো কেমিক্যাল কোম্পানির জাইকা-৯৫এসপি, জেনিজল-৩২৫এসপি, এবার্টন-১.৮ইসি ও জিওবান-৫০৫ইসি কীটনাশক তার জমিতে স্প্রে করেন। কিন্তু এ বছর স্প্রে করার ২/৩ দিন পর জমির ধান পুড়ে (জ্বলে) খড় হতে থাকে। বিষয়টি মাঠের অন্যান্য কৃষককে আলাউদ্দীন অবহিত করেন, পরে কীটনাশক ডিলারকে জানালে তিনিও পরদিন সকালে ক্ষেতের ধান পরিদর্শন করেন। কিন্তু কি কারণে ক্ষেতের ধান পুড়ে গেছে তা কেউই নির্ণয় করতে পারেননি।
একদিকে বর্গচাষি আলাউদ্দীন বরাবরই ডিলারকে দোষারোপ করছেন যে, ভেজাল কীটনাশক প্রয়োগের কারণেই তার ক্ষেত পুড়ে গেছে। অপরদিকে কীটনাশক বিক্রেতা আবু বাক্কারের দাবি অতিমাত্রাই কীটনাশক ব্যবহার অথবা ঘাসমারা কীটনাশক ব্যবহারের ফলে এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে।
বিষয়টি উপজেলা কৃষি অফিস পর্যন্ত গড়ালে নাচাল উপজেলা কৃষি অফিসার বুলবুল আহাম্মেদ, উপসহকারী কর্মকর্তা রাকিব আলীসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা সম্প্রতি ক্ষতিগ্রস্ত ধানক্ষেত পরিদর্শন করেন।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে ডিলার আবু বাক্কার ও ক্ষতিগ্রস্ত বর্গাচাষি আলাউদ্দীন স্থানীয়ভাবে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে সমঝোতায় বসলেও শেষ পর্যন্ত বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়ায় ওই কৃষকের পক্ষ থেকে নাচোল থানায় একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে নাচোল উপজেলা কৃষি কর্মকতা বুলবুল আহম্মেদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ঘটনাটি শুনে ওই ধান ক্ষেত পরিদর্শন করেছি এবং ওই এলাকার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রাকিব আলীকেও ক্ষতিগ্রস্ত ধান ক্ষেত পরিদর্শনে পাঠিয়েছিলাম। তিনি তদন্ত করছেন, তদন্ত রিপোর্ট শেষে দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৯
আরএ