সোমবার (১৪ অক্টোবর) রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে ‘পাওয়ারপ্যাক ইকোনমিক জোন প্রাইভেট লিমিটেড’ এর ‘বিনিয়োগ উন্নয়ন’ অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানানো হয়।
বাগেরহাট জেলায় মোংলা সমুদ্র বন্দরের কাছে ২০৫ একর জমিতে মোংলা ইকোনমিক জোন গড়ে তোলা হয়েছে।
‘বিনিয়োগ উন্নয়ন’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্ৰধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান। তিনি বলেন, দেশে যখন অপরিকল্পিতভাবে শিল্প-কারখানাগুলো গড়ে উঠছিল তখন সেটা বন্ধের জন্য খুব চেষ্টা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি সারাদেশে ১০০টি ইকোনমিক জোন তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সেটাই এখন বাস্তবায়িত হচ্ছে। ফলে অনেক বিদেশি বিয়োগকারী দেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হচ্ছেন। পদ্মা সেতু চালুর পর দেশি-বিদেশি শিল্পোদ্যক্তা ও ব্যবসায়ীদের কাছে মোংলা ইকোনমিক জোন এবং মোংলা সমুদ্র বন্দরের গুরুত্ব বাড়বে।
বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ, পাওয়ারপ্যাকের পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন, পাওয়ারপ্যাক ইকোনমিক জোন প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রন হক সিকদার, প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) ও পরিচালক সৈয়দ কামরুল ইসলাম মোহন এবং পরিচালক নাইমুজ্জামান মুক্তা প্রমুখ।
এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমম্বয়কারী মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, মোংলা ইকোনমিক জোন সরকারের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আগামী দিনে মোংলা বন্দর ও মোংলা ইকোনমিক জোন আমদানি-রপ্তানিকারকদের জন্যে অত্যন্ত লাভজনক ও আকর্ষণীয় হবে।
অনুষ্ঠানে রন হক সিকদার বলেন, ইতোমধ্যে পাওয়ারপ্যাক ইকোনমিক জোন মোংলার ৪৪ শতাংশ প্লট বিভিন্ন প্ৰতিষ্ঠানকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। অবশিষ্ট প্লটগুলো আকর্ষণীয় সুবিধাসহ শিল্প স্থাপনের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত।
অনুষ্ঠানে মোংলা ইকোনমিক জোনের বিস্তারিত নিয়ে একটি প্রসপেক্টাসের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৯
এমএএম/এইচএডি