মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় শেরে বাংলা নগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রকল্পের সার্বিক বিষয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেওয়ার সময় সময় পরিকল্পনামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় মোট আটটি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পগুলোর মোট ব্যয় ২২ হাজার ৯৪৫ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, আমরা নতুন সড়ক নির্মাণ করছি না। যে সব সড়ক আছে সেগুলোর যেখানে সেতু লাগবে, তা নির্মাণ করা হবে। যেখানে সড়ক মজবুত, মোটা ও প্রশস্ত করার দরকার তাই করবো। বিদ্যমান সড়কের উন্নয়ন করে তা জনবান্ধব করবো সবার আগে।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে বিদ্যমান ভূমির সর্বোত্তম ব্যবহার করতে হবে। মৃত্তিকার গবেষণাও বাড়াতে হবে। এখনো আমাদের কৃষি অর্থনীতির মেরুদণ্ড। তাই কৃষিকাজে সুফল পেতে মাটির গবেষণা জরুরি।
প্রকল্পের বার বার সংশোধন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নের পথে প্রধান বাঁধা ভূমি অধিগ্রহণ। কারণ ভূমির সঙ্গে আবেগ-অনুভূমি জড়িত। অনেকে বাপ-দাদার ভূমি দিতে চায় না। তাই আমরা সংশ্লিষ্টদের বলেছি, ভূমি অধিগ্রহণে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
প্রকল্প পরিচালকদের প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, অনেক প্রকল্প পরিচালক প্রকল্প এলাকায় থাকেন না। তাই প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতি দেখা যায়। প্রকল্প দীর্ঘ সময় ধরে বাস্তবায়ন হলে ব্যয়ও বেড়ে যায়। কারণ ২০১০ সালে রড ও ভূমির দাম যা ছিল ২০২০ সালে তা থাকে না। আমরা চাইলেও মূল্য ধরে রাখতে পারি না। তাই প্রকল্প পরিচালকদের বলবো, আপনারা প্রকল্প এলাকায় থাকুন, সঠিক সময়ে তা বাস্তবায়ন করুন। এতে সরকারি অর্থের অপচয় কমবে এবং জনগণ সঠিক সময়ে সুফল পাবে। কারণ একটি প্রকল্প অনুমোদন পাওয়া মানে উন্নয়নের পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২০
এমআইএস/এফএম