তিনি বলেছেন, এফটিএ স্বাক্ষরের জন্য বিমসটেকভুক্ত (বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন) দেশগুলোর আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন। আমাদের আঞ্চলিক বাণিজ্য টেকসই করতে ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করে কার্যকর কৌশল দিতে হবে।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ভারত চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির উদ্যোগে মুম্বাইয়ের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে দুই দিনব্যাপী ‘বিমসটেক এক্সপো-২০২০’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বিমসটেক এফটিএ স্বাক্ষরিত হলে বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, নেপাল এবং ভূটানের বাণিজ্যে নতুন দিগন্তের সূচনা হবে। সদস্যভুক্ত দেশগুলো এ বিষয়ে কাজ করছে। বিমসটেক কার্যকরভাবে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্যিক ও অর্থনৈকিত সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছে, সুফলও পাচ্ছে। ইন্টিগ্রেটিং বিমসটেক-২০২০ এ ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি।
টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশ ২০২৪ সালে স্বল্পোন্নত দেশ ( এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হবে এবং ২০২৭ সালের পর আর এলডিসি দেশের বাণিজ্য সুবিধা পাবে না। বাংলাদেশ এফটিএ স্বাক্ষরের মাধ্যমে পারস্পরিক দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর চেষ্টা করছে। আমরা বিশ্বাস করি, এ অঞ্চলের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে বিমসটেক ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সহযোগিতা জোটের (আসিয়ান) মধ্যে সেতু হিসেবে কাজ করবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন-ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির মহাপরিচালক ড. রাজিব সিং। গেস্ট অফ অনার হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভারতের এক্সটার্নার এফেয়ার্স মন্ত্রণালয়ের অ্যাডিশনাল সেক্রেটারি ভিরান্দার পাউল। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলী আহমেদ, বিহার রাজ্যের ইনভেস্টমেন্ট কমিশনার আর এস শ্রীভাস্টাভা, এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডেভিড রাসকুইনহা। অনুষ্ঠানে কী-নোট উপস্থাপন করেন বিমসটেক সেক্রেটারিয়েটের পরিচালক ড. ধামারু বল্লবহা পাওডেল।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২০
জিসিজি/ওএইচ/