তিনি বলেন, রোববার (১০ মে) এ সংক্রান্ত একটি আন্ত মন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হবে। রেলের কার্গো চালু করতে যাওয়া রুটগুলো হলো- যশোর, দর্শনা, বিরল ও রাধিকাপুর।
বৃহস্পতিবার (৭ মে) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গৃহীত পদক্ষেপ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বোনাপোল বন্দর দিয়ে পণ্য আনা-নেয়া বন্ধ থাকায় সরকার রেলের মাধ্যমে পণ্য আনতে চাচ্ছে। এজন্য রোববার আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে এ বিষয়ে একটি ফাইনাল মিটিং হবে। যাতে ভারত থেকে চারটি রুটে কার্গোর মাধ্যমে আমাদের কাঁচামালসহ অন্য পণ্য আনা-নেওয়া যায়।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরবরাহ চেইন ঠিক রাখতে ভারতের সঙ্গে রেলওয়ের চারটি রুট ঠিক করা হয়েছে। যশোর, দর্শনা, বিরল ও রাধিকাপুর। এছাড়া বেনাপোলসহ অন্য ল্যান্ডপোর্টগুলোও খোলা হয়েছিল। কিন্তু স্থানীয় রাজনীতির কারণে বন্ধ হয়েছে গেছে গত তিন-চারদিন ধরে। তবে সরকারিভাবে কোনো বাধা নেই। ওপারের (ভারত) জনগণ যেকোনো কারণে এটার বিরুদ্ধে থাকায় বন্ধ।
‘বেনাপোল বন্ধ হলেও আমাদের আসাম ও ত্রিপুরা স্থলবন্দর চালু রয়েছে। আমরা খুব চেষ্টা করছি। ভারতের হাইকমিশনারের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা চ্যাংড়াবান্ধা ও বাংলাবান্ধা- এই দু’টি স্থলবন্দর সচল রাখার জন্য যাতে প্রয়োজনীয় সবিধা পাই। প্রায় ২২শর বেশি ট্রাক পড়ে আছে বেনাপোলের ওপারে (ভারত)। আমাদের এখানেও প্রায় ২শ ট্রাক পড়ে আছে, তারা যেতে পারছে না। যদি ট্রেন চালু করা যায় তাহলে আশা করছি আমরা আমাদের আগের অবস্থান থেকে উন্নতি করতে পারবো। ’
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজও ভারত থেকে আসছে। নাসিকজাতের পেঁয়াজ নিয়ে বেশকিছু কার্গো ট্রেন বুক হয়েছে আসার জন্য। আশা করা যাচ্ছে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আমাদের বর্ডারে চলে আসবে। আগামী সপ্তাহের মাঝামাঝিতে ভারতের পেঁয়াজও আমরা পেয়ে যাবো। আমাদের দেশের পেঁয়াজও বাজারে চলে এসেছে। ফলে আশা করছি পেঁয়াজের দাম সহনীয় মাত্রায় চলে আসবে।
বড় শিল্প-প্রতিষ্ঠানগুলো কর্মী ছাঁটাই ও বেতন কাটছে এটা বন্ধ করার জন্য কোনো ব্যবস্থা নিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, গার্মেন্টস খাত বড় খাত। আন্তর্জাতিকভাবে বাইরের সঙ্গে সংযুক্ত। তাই সবকিছু বিবেচনায় সরকার একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ মন্ত্রিপরিষদ সচিব, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব, ব্যবসায়ী নেতারা রয়েছেন। তারা বসে এই সমস্যাগুলো সমাধান করছেন।
টিপু মুনশি বলেন, যারা কাজে যোগ দেয়নি ঘরে বসে ছিল তাদের ৬৫ শতাংশ দেওয়া হবে। আর যারা কাজ করছেন তাদের ফুল বেতন দেওয়া হবে। পাশাপাশি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে বারবার বলা হয়েছে কোনো অবস্থাতে করোনাজনিত কারণে কাউকে চাকরি থেকে ছাঁটাই করা যাবে না। আমরা এ বিষয়টি শক্তভাবে দেখবো। কোথাও যদি এর ব্যত্যয় ঘটে আমরা ব্যবস্থা নেবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৪ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০২০
জিসিজি/এএ