সোমবার (১১ মে) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে ঘরবন্দি মানুষ।
দেশেই নিজস্ব কারখানায় নিবিড় তত্ত্বাবধানে এসি তৈরি করছে ওয়ালটন। এসির মান উন্নয়নে ওয়ালটনের রয়েছে শক্তিশালী আরএন্ডডি (গবেষণা ও উন্নয়ন) টিম। যারা প্রতিনিয়ত এসির ডিজাইন এবং মান নিয়ে গবেষণা করছেন। ফলে ওয়ালটন এসিতে যুক্ত হচ্ছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচার। বেড়েছে মান। যার ফলে এসির রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি এক বছরে উন্নীত করেছে ওয়ালটন।
ওয়ালটন এসির চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) মো. তানভীর রহমান বলেন, ক্রেতা চাহিদা অনুযায়ী বিশ্বের যেকোনো দেশের ভৌগলিক অবস্থান ও আবহাওয়া উপযোগী এসি তৈরিতে সক্ষম ওয়ালটন। কাঁচামাল থেকে শুরু করে উৎপাদনের প্রতিটি ধাপে কঠোরভাবে মান নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। ফলে ওয়ালটন এসিতে সমন্বয় ঘটেছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচারের। দেশের এসি বাজারে এখন শীর্ষে ওয়ালটন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে একমাত্র ওয়ালটন এসিতেই দেয়া হচ্ছে ১ বছরের রিপ্লেসমেন্ট সুবিধা। বাংলাদেশে ওয়ালটনের নিজস্ব কারখানায় সর্বাধুনিক প্রযুক্তি, মেশিনারিজ, আনুষঙ্গিক যন্ত্রাংশ ও কাঁচামালে তৈরি আন্তর্জাতিকমানের এসব এসি রপ্তানি হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।
ওয়ালটন এসির চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, বিশ্বের যেকোনো স্থান থেকে ঘরে বসেই এসিসহ সব ধরনের ওয়ালটন পণ্য কেনা যাচ্ছে। গ্রাহকরা ‘ইপ্লাজা ডট ওয়ালটনবিডি ডটকম’ (https://eplaza.waltonbd.com) থেকে তাদের পছন্দের পণ্যটি কিনতে পারছেন। ইপ্লাজা থেকে কেনা সব মডেলের এসিতে ১০ শতাংশ মূল্যছাড় পাচ্ছেন গ্রাহক। যথাযথ সুরক্ষা ব্যবস্থা অনুসরণ করে দেয়া হচ্ছে হোম ডেলিভারি। ওয়ালটনের দক্ষ টেকনিশিয়ানগণ বিনামূল্যে গ্রাহকদের এসি ইন্সটলেশন করে দিচ্ছেন।
যেকোনো মডেলের পুরাতন এসির বদলে ২৫ শতাংশ মূল্যছাড়ে ওয়ালটনের নতুন এসি কেনার সুযোগ রয়েছে। মাত্র ৪,৯০০ টাকা ডাউন পেমেন্টে নতুন এসি, ৩৬ মাসের সহজ কিস্তি, জিরো ইন্টারেস্টে ১২ মাসের ইএমআই, এসিতে এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট, ইনভার্টার এসির কম্প্রেসরে ১০ বছরের গ্যারান্টিসহ অসংখ্য সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন।
ওয়ালটন এসির আরএন্ডডি বিভাগের প্রধান সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের জন্য ওয়ালটনের রয়েছে আইওটি বেজড ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী স্মার্ট ও ইনভার্টার এসি। এসব এসিতে ব্যবহৃত ইনভার্টার প্রযুক্তির কম্প্রেসর বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত। কম্প্রেসরে ব্যবহৃত হচ্ছে বিশ্বস্বীকৃত সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব এইচএফসি গ্যাসমুক্ত আর৪১০এ এবং আর৩২ রেফ্রিজারেন্ট। রয়েছে টার্বোমুড ও আয়োনাইজার প্রযুক্তি, যা দ্রুত ঠান্ডা করার পাশাপাশি রুমের বাতাসকে ধুলা-ময়লা ও ব্যাকটেরিয়া থেকে মুক্ত করে। কন্ডেন্সারে ব্যবহার করা হচ্ছে মরিচারোধক গোল্ডেন ফিন কালার প্রযুক্তি। যার ফলে ওয়ালটন এসি টেকসই ও দীর্ঘস্থায়ী।
১, ১.৫ এবং ২ টনের স্পিøট এসির পাশাপাশি স্কুল-কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা, হাসপাতাল, হোটেলের মতো মাঝারি স্থাপনার জন্য ৪ ও ৫ টনের ক্যাসেট ও সিলিং টাইপ এসি ব্যাপকভাবে বাজারজাত করছে ওয়ালটন। আর বড় স্থাপনার জন্য ওয়ালটনের রয়েছে ভেরিয়্যাবল রেফ্রিজারেন্ট ফ্লো বা ভিআরএফ (VRF) এবং চিলার (Chiller) এসি।
দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে আইএসও সনদপ্রাপ্ত সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের আওতায় সারা দেশে রয়েছে ৭৪টি সার্ভিস সেন্টার। ওয়ালটনের দক্ষ ও অভিজ্ঞ প্রকৌশলী এবং টেকনিশিয়ানগণ প্রতি ১০০ দিন পর পর এসির ক্রেতাদের ফ্রি সার্ভিসিং দিচ্ছেন।
যেসব এসির ওয়ারেন্টি ২৫ মার্চ থেকে ৩১ মে’র মধ্যে শেষ হয়েছে বা হবে, করোনা দুর্যোগের কারণে সেগুলোর মেয়াদ ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়িয়েছে ওয়ালটন। এ সময়ে অনলাইনে গ্রাহকদের সেবা দেয়া হচ্ছে। পণ্য সংক্রান্ত যে কোনো সমস্যায় ওয়ালটনের হটলাইন ১৬২৬৭ ও ০৯৬১২৩১৬২৬৭ নম্বরে এবং অফিশিয়াল ফেসবুক পেইজে (https://www.facebook.com/waltonairconditioner) সেবা পাওয়া যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪৬ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২০
এইচএডি