ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বন্ধ পাটকল শ্রমিকরা পাবেন ১৩.৮৬ লাখ টাকা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩২৩ ঘণ্টা, জুলাই ৩, ২০২০
বন্ধ পাটকল শ্রমিকরা পাবেন ১৩.৮৬ লাখ টাকা ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: দেশের বন্ধ ঘোষণা করা রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোর প্রতিজন শ্রমিক গড়ে ১৩ লাখ ৮৬ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ৫৪ লাখ টাকা পর্যন্ত পাবেন। পাওনা টাকা অর্ধেক নগদে ও বাকি অর্ধেক টাকার সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে দেবে সরকার।

বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রসঙ্গত, লোকসান থেকে বাঁচাতে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোর ২৪ হাজার ৮৮ জন স্থায়ী শ্রমিককে গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে অবসরে পাঠানো হচ্ছে বলে গত ২৮ জুন ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোর বিরাজমান পরিস্থিতি সমাধানসহ পাটখাতে প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজিএমসি) নিয়ন্ত্রণাধীন রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলো ১ জুলাই থেকে বন্ধ ঘোষণা এবং গোল্ডেন হ্যান্ডশেক সুবিধার আওতায় কর্মরত ২৪ হাজার ৮৮৬ জন শ্রমিকের পাওনা এককালীন পরিশোধের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এর আওতায় শ্রমিকরা চারখাতে আর্থিক সুবিধা পাবেন।

শ্রমিকরা ‘বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬’ এর ধারা-২৬ এর উপধারা-৩ অনুযায়ী নোটিশ মেয়াদের অর্থাৎ ৬০ দিনের মজুরি পাবেন। এছাড়া চাকরিবিধি অনুযায়ী প্রাপ্য গ্রাচুইটি (জাতীয় মজুরি কাঠামো, ২০১৫’ অনুযায়ী), পিএফ তহবিলে জমাকৃত সমুদয় অর্থ ও নির্ধারিত হারে গোল্ডেন হ্যান্ডশেক সুবিধা পাবেন শ্রমিকরা।

আরও পড়ুন>>>রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোর উৎপাদন বন্ধ ঘোষণা

প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, প্রতিজন শ্রমিক গড়ে ১৩ লাখ ৮৬ হাজার টাকা করে এবং সর্বোচ্চ ৫৪ লাখ টাকা পর্যন্ত পাবেন জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একইসঙ্গে ২০১৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত অবসরে যাওয়া আট হাজার ৯৫৬ জন শ্রমিকের ও বদলি শ্রমিকদের সমুদয় পাওনা পরিশোধ করা হবে। শ্রমিকদের পাওনার অর্ধেক নগদে এবং বাকি অর্ধেক তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র আকারে দেওয়ার ফলে শ্রমিকরা এক ধরনের বাধ্যতামূলক সঞ্চয়ের সুযোগ পাবেন, যা তাকে প্রতি তিন মাস অন্তর উল্লেখযোগ্য পরিমাণে মুনাফা দেবে। এতে শ্রমিকদের জন্য একটি আর্থিক সুরক্ষা তৈরি হবে। ’

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শ্রমিকদের পাওনা ১৪ লাখ হলে, তিনি ৭ লাখ টাকা নগদে আর বাকি ৭ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র পাবেন। এক্ষেত্রে তিনি সঞ্চয়পত্রের জন্য তিন মাস অন্তর ১৯ হাজার ৩২০ টাকা মুনাফা পাবেন। ২৪ লাখ টাকা পাওনা হলে তিনি ১২ লাখ টাকা নগদ পাবেন বাকি ১২ লাখ টাকা পাবেন সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে। এক্ষেত্রে তিনি তিন মাস অন্তর মুনাফা পাবেন ৩৩ হাজার ১২০ টাকা।

৩৮ লাখ টাকা হলে তিনি ১৯ লাখ টাকা নগদে এবং বাকি ১৯ লাখ টাকা সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে পাবেন। এক্ষেত্রে তার তিন মাসে মুনাফা হবে ৫২ হাজার ৪৪০ টাকা। এছাড়া ৫৪ লাখ টাকা হলে তিনি নগদ পাবেন ২৭ লাখ টাকা এবং বাকি ২৭ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র দেয়া হবে। এক্ষেত্রে তিন মাস অন্তর তিনি ৭৪ হাজার ৫২০ টাকা মুনাফা পাবেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৩২০ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০২০
জিসিজি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।