রোববার (৬ মে) সকাল ১০টা ৮ মিনিটে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ে তার হাতে ফলাফলের সারসংক্ষেপ হস্তান্তর করেন। প্রধানমন্ত্রী সে ফলাফল অনলাইনে প্রকাশ করেন, যা বেলা ২টার পর পাওয়া যাবে।
এ বছর সারাদেশে ৩ হাজার ৪১২টি কেন্দ্রে মোট ২০ লাখ ২৬ হাজার ৫৭৪ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। এসএসসিতে মোট পরীক্ষার্থী ১৬ লাখ ২৪ হাজার ৪২৩ জন, মাদ্রাসা বোর্ডের অধীন দাখিল পরীক্ষায় ২ লাখ ৮৬ হাজার ২০৬ জন এবং কারিগরিতে ১ লাখ ১৫ হাজার ২৩৪ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়।
এবার গড় পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার ৬২৯ জন শিক্ষার্থী।
সাধারণ আট শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৭৯ দশমিক ৪০ শতাংশ। মোট পাস করেছে ১২ লাখ ৮৯ হাজার। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ২ হাজার ৮৪৫ জন।
আর কারিগরি বোর্ডে পাসের হার ৭১ দশমিক ৯৬ জন। মোট পাস করেছে ৮২ হাজার ৯১৭ জন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ হাজার ৪১৩ জন।
গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এসএসসি ও সমমানের তত্ত্বীয় বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৬ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ৪ মার্চ শেষ হয়।
গত বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ৮০ দশমিক ৩৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করে। এদের মধ্যে জিপিএ-৫ পায় ১ লাখ ৪ হাজার ৭৬১ জন।
ফল জানা যাবে যেভাবে
শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইটের পাশাপাশি যে কোনও মোবাইল থেকে এসএমএস করেও ফল জানা যাবে।
এজন্য SSC/DAKHIL লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০১৮ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠিয়ে ফল জানা যাবে।
এছাড়া শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট http://www.educationboardresults.gov.bd থেকেও পরীক্ষার্থীরা ফল জানতে পারবেন।
গত কয়েক বছর থেকে পেপারলেস ফলাফল প্রকাশ করা হচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো www.educationboardresults.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে ফলাফল ডাউনলোড করতে পারবে। বোর্ড থেকে ফলাফলের কোনো হার্ডকপি সরবরাহ করা হবে না।
তবে বিশেষ প্রয়োজনে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দফতর থেকে ফলাফলের হার্ডকপি সংগ্রহ করা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৬ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০১৮
এমইউএম/আরআর