মঙ্গলবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশমাইল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত শিক্ষার্থীর নাম আশরাফুল ইসলাম দ্বীপ।
তাকে গুরতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেলে দ্বীপ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশমাইল এলাকায় যান। বিশমাইলের পার্শবর্তী রাঙ্গামাটি এলাকায় পৌঁছালে ১০-১৫ জন তাকে রড দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে মারতে শুরু করে। পরবর্তীতে খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে।
আহত শিক্ষার্থী আশরাফুল ইসলাম দ্বীপ বলেন, আমি মোটরসাইকেল নিয়ে বিশমাইলে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ করে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের ৪৩ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক শিহাব খান দিগন্ত ও তার বন্ধু একই ব্যাচের শিক্ষার্থী ফজলে রাব্বীসহ প্রায় ১০-১৫ জন রড লাঠি নিয়ে আমার উপরে হামলা করে।
হামলার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, হয়তো আগের কোনো ঘটনার জেরে তারা আমার উপর হামলা করেছে।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক শিহাব খান দিগন্ত বলেন, সে ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত। তার কারণে ওই এলাকার লোকজন অতিষ্ঠ। সে গত পরশু আমার চাচা দেলোয়ার হোসেনের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। তা না হলে আমার চাচার গোকুলনগরের দোকান উঠিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। আজ আবার আমার ছোট ভাই বিশ্ববিদ্যালয়ের পিয়ন ফারুকের কাছ থেকে মোবাইল ছিনতাই করছিল। আমি খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে তাকে হাতেনাতে ধরি, তখন এলাকার লোকজন তাকে গণপিটুনি দেয়।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) সহযোগী অধ্যাপক আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, বিশমাইল এলাকা থেকে একজনের কল পাই। তখন জানতে পারি এক শিক্ষার্থীকে ব্যাপক মারধর করা হচ্ছে। আমি তাৎক্ষণিক প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে পাঠাই। পরবর্তীতে তারা তাকে উদ্ধার করে প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসে। অবস্থা খারাপ দেখে মেডিকেলে পাঠাই। তবে কি কারণে মারধর করেছে সেটা এখনও জানতে পারিনি।
গত ৭ নভেম্বর ৩০৩ তম সিন্ডিকেট সভায় ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দ্বীপসহ তিন শিক্ষার্থীকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বাংলাদেশ সময়: ২১১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৯
আরআর