সোমবার (১১ মার্চ) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সকাল ৯টায় বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের সামনে দেখা যায়, আগে থেকে সিল মারা ব্যালট পেপার নিয়ে শিক্ষার্থীরা হলের গেটের সামনে বিক্ষোভ করছেন। এসব সিল মারা ব্যালট পেপার পৌঁছে গেছে শিক্ষার্থীসহ সাংবাদিকদের কাছেও।
শিক্ষার্থীরা জানান, সকাল ৮টায় ভোটাররা ভোট দিতে লাইনে দাঁড়ান। প্রক্টর গিয়ে সেখানে কথা বলে সময় কাটানোর চেষ্টা করেন। পরে শিক্ষার্থীরা জোর করে ঢুকলে সিল মারা ব্যালট উদ্ধার করা হয়।
শিক্ষার্থীরা সাংবাদিকদের কাছে বলেন, ‘রাতে আমরা ২টা পর্যন্ত ভোটকেন্দ্র পাহারা দিয়েছি, যেন আগে থেকে সিল মারা না হয়। কিন্তু ২টার দিকে সমস্ত গেট বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং আমাদের সেখানে আর থাকতে দেওয়া হয়নি। এরপর সকালে আমরা খালি ব্যালট পেপার দেখতে চাইলেও তা দেখতে দেওয়া হয়নি। এ সময় হল প্রভোস্ট শবনম জাহান আমাদের বাধা দেয়। এরপর প্রক্টর স্যার এলে তারা অনেক্ষণ সময়ক্ষেপণ করে আমাদের ভোট সুষ্ঠু করার আশ্বাস দেয়। কিন্তু তারা তা না করে জাল ভোটে সহায়তা করে। সকালে ভোটকেন্দ্রের পাশে আমাদের রিডিং রুমে যেখানে প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল, সেখানে দেখি হল প্রভোস্ট ম্যাম বস্তাভর্তি সিল মারা ব্যালট পেপার সরাচ্ছেন বাথরুমের ভেতরে। সেখান থেকে এক বস্তা ব্যালট পেপার আমরা ছিনিয়ে আনি ও ভোট বর্জন করি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৯
পিএম/এমএএম/এসকেবি/এইচএ/