মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে কলা ভবনের সামনে সমাবেশে মিলিত হয়। এর আগে দিসবটি উপলক্ষে হাইকোর্ট মোড়ে শিক্ষা চত্বরে সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
সমাবেশে জাসদ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আহসান হাবীব শামীমের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ মিন্টুর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ-সভাপতি আরিফুল হক পাপ্পু, ওসমান গনি শুভ্র, সাংগঠনিক সম্পাদক গোপাল রাজবংশী, সহ-দফতর সম্পাদক ইমরান আলী, স্কুল বিষয়ক সম্পাদক বরুন রায় প্রমুখ।
সভাপতি আহসান হাবীব শামীম বলেন, ১৯৬২ সালের এ দিনটিকে স্মরণ করে বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় নৈরাজ্যকর অবস্থার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের (জাসদ) নেতৃত্বে ছাত্র সমাজকে নিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম করে যাবে।
তিনি বলেন, শিক্ষাখাতে অর্থ বরাদ্দ বাড়াতে হবে, শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ ও পাঠ্যপুস্তুকে সাম্প্রদায়িকীকরণ বন্ধ করতে হবে, সেইসঙ্গে প্রতিটি ক্যাম্পাসে ছাত্রসংসদ নির্বাচন দিয়ে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জাসদ) আগামী দিনে রাজ পথে থেকে এ দাবিগুলো আদায় করে ঘরে ফিরবে।
১৯৬২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর স্বৈরশাসক আইয়ুব খান গঠিত শিক্ষা কমিশনের শিক্ষা নীতি তথা শিক্ষা সংকোচন নীতির প্রতিবাদে তৎকালীন ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বে দেশব্যাপী হরতাল পালিত হয়। ছাত্রদের ডাকা হরতালে পুশিলের দফায় দফায় লাঠিচার্জ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। এতে শহীদ হন গোলাম মোস্তফা, বাবুল ও ওয়াজিউল্লাহ। সেই থেকে ছাত্রসমাজ দিনটিকে সংগ্রাম ও ঐতিহ্যের মহান শিক্ষা দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৯
এসকেবি/ওএইচ/