এদিকে নিজেদের এ অবস্থার প্রতিকার চেয়ে উপজেলা চত্বরে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের দাবিতে ছাত্রছাত্রীদের অবস্থান কর্মসূচি ও স্মারকলিপি জমা দিয়েছে।
অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা- সিংরইল গ্রামের রুহুল আমিনের মেয়ে লিজা খাতুন, একই গ্রামের জগদিস চন্দ্র বর্মণের মেয়ে তমা রানি, ও তহরুল ইসলামের মেয়ে তাসলিমা খাতুন, আমলাইন গ্রামের দুরুল হোদার মেয়ে রেহেনা খাতুন, টাকাহারা গ্রামের জাম বাবু রায়ের ছেলে সুবাস রায়, ও একই গ্রামের জয়দেব ঘোষের ছেলে প্রসেনজিৎ ঘোষ।
শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি থেকে জানা গেছে, উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের মাধবপুর স্কুল থেকে ২০১৭ সালে জেএসসি পরীক্ষায় পাস করে ছয়শিক্ষার্থী। ছয়জনের মধ্যে চারজন ছাত্রী ২০১৮/’১৯ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হয় উপজেলার মুসলিমপুর গার্লস একাডেমিতে ও ২জন ছাত্র ভর্তি হয় পীরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে। মাধবপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে প্রশংসাপত্র, প্রবেশপত্র, বিদ্যালয় পরিত্যাগের ছাড়পত্র, নিবন্ধনপত্র ও নম্বরপত্রের জন্য ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকরা বিগত ২ বছর ধরে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমানের কাছে ধর্না দিয়েও শেষ পর্যন্ত কাগজপত্র পায়নি।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ২০২০ সালের এসএসসি পরীক্ষার নিবন্ধন করতে ওই সব কাগজপত্র না থাকায় তারা ২০২০ সালের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না। তাই বাধ্য হয়ে গত ১৬ অক্টোবর উপজেলা ইউএনও বরাবর ওইসব কাগজপত্র সরবরাহের দাবিতে তারা আবেদন করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) কাগজপত্র পাওয়ার দাবিতে উপজেলা পরিষদের সামনে প্রায় ৩ ঘণ্টাব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি পালন শেষে উপজেলা ইউএনও সাবিহা সুলতানার কাছে তাদের দাবি সম্পর্কে অবহিত করে স্মারকলিপি জমা দিয়েছে।
উপজেলা ইউএনও সাবিহা সুলতানা জানান, ১৬ অক্টোবর শিক্ষার্থীদের আবেদন পেয়েই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সরবরাহের জন্য ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষককে নিদের্শ দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরা যেন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারে এ ব্যাপারে সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন।
অন্যদিকে মাধবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অভিযুক্ত আতাউর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ৬ষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ওই ৬ শিক্ষার্থী আমার স্কুলে লেখাপড়া করেছে। তারা তাদের কাগজপত্র আমার কাছে থেকে কোনোদিন নিয়ে না যাওয়ায় আমি ওই শিক্ষার্থীদের ২০২০ সালের এসএসসির নিবন্ধনের জন্য রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে জমা দিয়েছি।
এদিকে ৬ শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য মিথ্যা দাবি করে তারা জানান, বিগত ২বছর ধরে হেড মাস্টারের কাছে ঘুরেও ছেলেমেয়েদের কাগজপত্র পায়নি।
অপরদিকে মুসলিমপুর গার্লস একাডেমির প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম ও পীরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুসলেউদ্দীন জানান, তারাও মাধবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমানকে ওই ছাত্রছাত্রীর কাগজপত্র চেয়ে অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু উনি সময়মত কাগজপত্র সরবরাহ করেননি তাই ওই ৬ এসএসসি পরীক্ষার্থীর ২০২০সালে পরীক্ষা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৯
এএটি