সোমবার (০৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপাচার্য অপসারণ মঞ্চ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের বাসভবন ঘেরাও করেন শতাধিক আন্দোলনকারী শিক্ষক ও শিক্ষার্থী।
এ পরিপ্রেক্ষিতে যেকোনো ধরনের সহিংসতা এড়াতে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য উপাচার্যের বাসভবনের সামনে সার্বক্ষণিক নিয়োজিত আছেন বলে জানিয়েছেন আশুলিয়া থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. আতিক।
এ ব্যাপারে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ আন্দোলনের মুখপাত্র অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, আমরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছি। তিনি অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এ অবস্থান কর্মসূচি চলবে।
তিনি বলেন, কোনো আন্দোলনে আমরা আজকের মতো অবস্থান দেখিনি। আমরা লক্ষ্য করেছি দুর্নীতিবাজ উপাচার্য শুধু শিক্ষকদের ব্যবহার করছেন, সেটা নয়, নিজের স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদেরও ব্যবহার করছেন। এর মাধ্যমে শিক্ষক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছেন। এর আগে যখন আমরা ঘোষণা দিয়েছি যে, যেকোন সময় আমরা উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করতে পারি, তখন থেকেই উপাচার্য তার বাসভবনে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের খাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন বলে জানতে পেরেছি। এর একটাই কারণ, সেটা হলো আন্দোলনকারী শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মুখোমুখি তাদের দাঁড় করানো।
উপাচার্যপন্থি শিক্ষক অধ্যাপক বশির আহমেদ বলেন, সংকট সমাধানের জন্য শিক্ষামন্ত্রী আন্দোলনকারীদের ডেকেছিলেন। মন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে তারা আলোচনায় বসেছেন। আমরা এটাকে স্বাগত জানিয়েছি। আমরা যতটুকু শুনেছি, মন্ত্রী সবার সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন এবং আন্দোলনকারীদের কর্মসূচী প্রত্যাহারের আহবান জানিয়েছেন। কিন্তু তারা তাতে সাড়া না দিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। আন্দোলনের জন্য মঞ্চ বানানোর পর তারা এখন উপাচার্যের বাসভবন অবরুদ্ধ করেছেন। এটা একটি সাংঘর্ষিক আচরণ।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান সাংবাদিকদের বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে শান্তিপূর্ণ অবস্থান দেখতে চাই। সেই জায়গা থেকে আমরা বলবো আন্দোলনকারীরা যেন তাদের অবস্থান থেকে সরে আসেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৯
টিএ