বুধবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনের সমন্বয়ক অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, আগামী ২১ নভেম্বরের মধ্যে হল ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের ঘোষণা প্রত্যাখান করে শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম অনিক বলেন, ‘গত ৫ নভেম্বর আন্দোলনকারীদের ওপর উপাচার্যের প্রত্যক্ষ মদদে ছাত্রলীগের হামলার পরে তিনি আর স্বপদে থাকার অধিকার রাখেন না। এরপরে তিনি নিজের পদে টিকে থাকার জন্য হাজারো শিক্ষার্থীর দুর্ভোগের কথা চিন্তা না করেই বিশ্ববিদ্যালয় ও আবাসিক হল বন্ধ ঘোষণা করেছেন। কিন্তু এ সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে সেদিন শত শত শিক্ষার্থী হলের তালা ভেঙে রাস্তায় বিক্ষোভে নেমে পড়েন। এতে প্রমাণ হয় যে, উপাচার্য এই নৈতিক ও যৌক্তিক আন্দোলনে ভয় পান। আর তা দমাতেই তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ও হল বন্ধের সিদ্ধান্ত জানান। ’
তিনি বলেন, ‘শুধুমাত্র আর্থিক কেলেঙ্কারি নয়, উপাচার্যের প্রত্যক্ষ মদদে হামলা ও অদক্ষ-অযোগ্য, ভারপ্রাপ্ত প্রশাসন দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় ব্যর্থ হওয়ায় তার অপসারণ জরুরি। ’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃ-বিজ্ঞান বাংলা বিভাগের অধ্যাপক শামীমা সুলতানা, অধ্যাপক তারেক রেজা ও দর্শন বিভাগের অধ্যাপক কামরুল আহসান প্রমুখ।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্রফ্রন্ট, ছাত্রফ্রন্ট (মার্ক্সবাদী), জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের জাবি শাখার নেতাকর্মীরা।
প্রসঙ্গত, গত ৫ নভেম্বর জাবি উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে আন্দোলনরতদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওইদিন সিন্ডিকেটের এক জরুরি সভায় বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এছাড়া শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৯
আরআইএস/