আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মু জিয়াউল হক এ তথ্য জানিয়েছেন।
দেশের তিন হাজার ৫১২টি কেন্দ্রে এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৭৭৯ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে।
পরীক্ষা শুরুর প্রথম দিন সোমবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) এসএসসিতে বাংলা (আবশ্যিক) প্রথমপত্র ও সহজ বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষা হয়েছে। আর মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে দাখিলে কুরআন মাজিদ ও তাজবিদ এবং কারিগরি বোর্ডে ভোকেশনালে বাংলা-২ (১৯২১) (সৃজনশীল) (নতুন সিলেবাস/পুরাতন সিলেবাস) ও বাংলা-২ (১৭২১) (সৃজনশীল) (নতুন সিলেবাস/পুরাতন সিলেবাস) বিষয়ের পরীক্ষা হয়।
পরীক্ষায় ঢাকা বোর্ডে এক হাজার ৮২৫ জন, রাজশাহীতে ৬৫৩ জন, কুমিল্লায় ৪৯৯ জন, যশোরে ৫৩৬ জন, চট্টগ্রামে ৪০০ জন, সিলেটে ৩৫৮ জন, বরিশালে ৩৫৪ জন, দিনাজপুরে ৪৭০ জন ও ময়মনসিংহ বোর্ডে ৩৫২ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল।
এছাড়া মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে চার হাজার ৮০৬ জন এবং কারিগরি বোর্ডে দুই হাজার ৬৮৪ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়নি।
অন্যদিকে কারিগরি বোর্ডে ১২ জন, মাদ্রাসা বোর্ডে পাঁচজন, চট্টগ্রাম বোর্ডে দু’জন এবং যশোর, বরিশাল ও দিনাজপুর বোর্ডে একজন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের নিয়মানুযায়ী, এসএসসিতে সর্বোচ্চ চারটি পত্রে ফেল করলে ওইসব বিষয়ে পরের বছর পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পায় শিক্ষার্থীরা।
গত ৩১ জানুয়ারি ঢাকার দুই সিটির নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। তবে হিন্দু ধর্মালম্বীদের সরস্বতী পূজা ভোটের দিন পড়ায় বিভিন্ন মহল থেকে দাবি উঠায় ভোট পিছিয়ে নেওয়া হয় ১ ফেব্রুয়ারি, আর পরীক্ষা পিছিয়ে নেওয়া হয় ৩ ফেব্রুয়ারি।
তত্ত্বীয় বিষয়ের পরীক্ষা শেষ হবে ২৭ ফেব্রুয়ারি। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে শেষ হবে ৫ মার্চ।
চলতি বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় নয়টি বোর্ডে মোট ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৭৭৯ জন পরীক্ষার্থী মাধ্যমিক স্তরের এ পরীক্ষায় অংশ নেবে। গত বছরের চেয়ে পরীক্ষার্থী কমেছে ৮৭ হাজার ৫৪৪ জন।
মোট ২৮ হাজার ৮৮৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তিন হাজার ৫১২টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ২০২টি প্রতিষ্ঠান ও ১৫টি কেন্দ্র বেড়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২০
এমআইএইচ/আরবি/