বিষয়টি ‘অতীব জরুরি’ উল্লেখ করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক এক বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) এ নির্দেশনা দেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অধিদপ্তরের আওতাধীন সব আঞ্চলিক কার্যালয়, জেলা শিক্ষা অফিস, উপজেলা/থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস, সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সবার আবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধকালীন সময়ে ষষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণির পাঠদানের ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য ‘সংসদে বাংলাদেশ টেলিভিশন’-এ নির্দিষ্ট একাডেমিক ক্যালেন্ডার অুযায়ী বিষয়ভিত্তিক পাঠদান কর্মসূচি চলমান।
‘শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষক-শিক্ষকিাকে সব ক্লাস দেখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো। ’
এতে আরো বলা হয়, প্রত্যেকটি বিষয়ের জন্য শিক্ষার্থীরা আলাদা খাতায় তারিখ অনুযায়ী পাঠদানকারী শিক্ষক প্রদত্ত বাড়ির কাজ সম্পন্ন করবে এবং স্কুল খোলার পর সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের কাছে জমা দেবে। এই বাড়ির কাজের উপর প্রাপ্ত নম্বর ধারাবাহিক মূল্যায়নের অংশ হিসেবে বিবেচিত হবে।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১৮ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ এবং পরে বাড়িয়ে আগামী ৯ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার ফলে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম যাতে ব্যাহত না হয় সেজন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ২৯ মার্চ থেকে সংসদ টেলিভিশনের মাধ্যমে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য দক্ষ শ্রেণি শিক্ষকদের ক্লাসের ভিডিও ধারণ সম্প্রচার করা হচ্ছে।
অধিদপ্তর জানিয়েছে, প্রত্যেক শিক্ষার্থী বাসায় বসেই টিভির মাধ্যমে ক্লাসে অংশ নিতে পারবে। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ পাঠদান কার্যক্রম চলবে। দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সেই ক্লাস আবার পুনঃপ্রচার করা হবে।
এছাড়া ক্লাস ‘আমার ঘরে আমার স্কুল’ ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে পাওয়া যাবে। যদি কোনো শিক্ষার্থী কোনো ক্লাস দেখতে না পারেন তাহলে সে উল্লেখিত ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে ক্লাসটি দেখতে পারবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০২০
এমআইএইচ/এএ