শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাজধানীর হোটেল পূর্বানীতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার বিষয়টি জানান।
যদিও তিনি শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) নির্বাচন থেকে সরে আসার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
নিজাম উদ্দিনের নির্বাচন বর্জনের ঘোষণার মধ্যেই শনিবার সকাল আটটা থেকে বাংলাদেশ নৌ-চলাচল সংস্থার পল্টন কার্যালয়ে ভোটগ্রহণ চলছে। যা চলবে বিকেল চারটা পর্যন্ত। এ নির্বাচনে মোট ভোটার ২৮৭ জন।
নির্বাচনে মাহবুব-বাদল পরিষদের বিপরীতে গণতান্ত্রিক প্যানেলের নেতৃত্বে ছিলেন নিজাম উদ্দিন।
সংবাদ সম্মেলনে নিজাম উদ্দিন বলেন, আমার পরিষদের অন্য সব প্রার্থীদের বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখিয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করানো হয়েছে। এজন্য শেষ প্রার্থী হিসেবে আমিও নির্বাচন থেকে সরে গেলাম।
এদিকে সংবাদ সম্মেলনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা কোনো প্রার্থী উপস্থিত ছিলেন না।
‘যারা ভোটার হওয়ার উপযুক্ত নয় তাদেরও ভোটার করা হয়েছে’ অভিযোগ করে নিজাম উদ্দিন বলেন, ভোটারদের আয়কর সনদের রশিদ থাকতে হবে। কিন্তু এর কোনো কিছুই মানা হয়নি। নির্বাচনে দেশদ্রোহী ও সাজাপ্রাপ্ত কেউ ভোটার থাকার কথা নয়। কিন্তু ভোটার তালিকায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং তার বন্ধু বিতর্কিত ব্যবসায়ী ও সংস্থার সাবেক সভাপতি গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের নাম রয়েছে। এটা কীভাবে সম্ভব?
তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, বিগত ১২ বছরে এ সমিতির কোনো নির্বাচন হয়নি। এমনকি এজিএম বা ইজিএমও হয়নি। বার্ষিক অডিট প্রতিবেদনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, জয়েন্ট স্টক কোম্পানি এবং এফবিসিসিআই’র নথিভুক্ত করা হয়নি। গোপনে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। এ নির্বাচনের নোটিশ ডাক বা ই-মেইলে কোনো সদস্যদের পাঠানো হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৯
ডিএন/এএটি