ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

ইভিএম: ভারত-ব্রাজিলের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় করবে ইসি

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০১৯
ইভিএম: ভারত-ব্রাজিলের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় করবে ইসি

ঢাকা: ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যবহার ক্রমে বাড়াচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নির্বাচনগুলোতে কোনো ধরনের সমস্যার সম্মুখীন না হওয়ায় আত্মবিশ্বাসও বেড়েছে সংস্থাটির। এ অবস্থায় ভারত ও ব্রাজিলের সঙ্গে ভোটযন্ত্রটির অধিকতর ব্যবহারের লক্ষ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, ২০১৯ সালের ২ মার্চ একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন ডেকেছে সংস্থাটি। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হবে।

এটি আয়োজন করছে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ। এতে অংশ নেবে সার্কের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর নির্বাচন কমিশনও।

এ বিষয়ে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের অফিসার ইনচার্জ স্কোয়াড্রন লিডার কাজী আশিকুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, সম্মেলনটি আয়োজন করার মূল লক্ষ্য হচ্ছে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে জ্ঞান লাভ। বর্তমানে সফলভাবে ভোটযন্ত্রটি ব্যবহার করছে ভারত ও ব্রাজিল। তাই তাদের অভিজ্ঞতাটা নেওয়া হবে। অন্যদিকে আমাদের অভিজ্ঞতাটাও নিতে পারবে তারা।

এ পর্যন্ত যেসব জায়গায় ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে, সেসব নির্বাচনের প্রার্থীরা সম্মেলনে অংশ নেবেন। এক্ষেত্রে সিটি করপোরেশন, উপজেলা ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনগুলোর যেখানে ইভিএম ব্যবহার করা হয়েছে, সেসব নির্বাচনের প্রার্থীরা থাকবে। এই অর্থে দলগুলোর উপস্থিতি থাকবে।

ভারত, ব্রাজিল ছাড়াও সার্কভুক্ত দেশগুলোর নির্বাচন কমিশন নিয়ে গঠিত সংগঠন ফোরাম অব ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট বডিস অব সাউথ এশিয়ার (ফেমবোসা) সদস্য হিসেবে ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, নেপাল, ভুটান ও মালদ্বীপও সম্মেলনে অংশ নেবে।

২০১০ সালে যখন ইভিএম ব্যবহারের প্রচলন শুরু করে এটিএম শামসুল হুদার কমিশন। সে সময় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছ থেকে ১২ হাজার টাকা করে প্রায় সাড়ে ১২শ ইভিএম তৈরি করে নেয়। ওই কমিশন এই যন্ত্রে ভোট নিয়ে সফলও হয়।

পরবর্তীকালে কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন কমিশন রাজশাহী সিটি নির্বাচনে ২০১৫ সালে ভোট নিতে গেলে একটি মেশিন বিকল হয়ে পড়ে। সে মেশিনটি পরে আর ঠিক করতে পারেনি কমিশন। এমনকি বিকল হওয়ার কারণও উদ্ধার করা যায়নি। ফলে ওই মেশিনগুলো নষ্ট করে নতুন করে আরও উন্নত প্রযুক্তি ইভিএম তৈরির নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় তারা।

কেএম নূরুল হুদার বর্তমান কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর সেই সিদ্ধান্তের ধারাবাহিকতায় ২ লাখ ২০ হাজার করে ইভিএম তৈরি করে নিচ্ছে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি থেকে।

অধিকতর দামি বা ‘উন্নত ইভিএম’ দিয়ে ভোটগ্রহণ প্রথম শুরু হয় ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে রংপুর সিটি নির্বাচনের মাধ্যমে। সে নির্বাচনে সফলতার পর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও ছয়টি আসনে এই ভোটযন্ত্রে ভোটগ্রহণ করে ইসি। কোনো সমস্যা বা ত্রুটির মুখে না পড়ায় পরে সব নির্বাচনেই এ যন্ত্র ব্যবহার করছে সংস্থাটি।

বাংলাদেশ সময়: ০৮২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৯
ইইউডি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।