ইসি উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান বলেন, আগাম প্রচার কাজ বন্ধ করার জন্য সম্ভাব্য প্রার্থীদের সময় তিন দিন। এক্ষেত্রে ২২ ডিসেম্বর তফসিল ঘোষণা হওয়ায় ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে সবধরনের প্রচার কাজ বন্ধ করতে হবে।
প্রার্থীরা প্রচার কাজ চালাতে পারবেন আগামী ১০ জানুয়ারি থেকে। কেননা, প্রতীক বরাদ্দ হবে ১০ জানুয়ারি। মেয়র পদে দলীয় নির্বাচন হলেও এ পদের প্রার্থীদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার সময় ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
নির্বাচন আইন অনুযায়ী, কোনো প্রার্থী আগাম প্রচার চালালে তা নির্বাচনী আচরণ লঙ্ঘন বলে গণ্য হবে। এক্ষেত্রে কারো বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গে অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রার্থিতা বাতিল হতে পারে। কেউ নির্বাচিত হওয়ার পরও এমন অপরাধের জন্য প্রার্থিতা বাতিল করার ক্ষমতা রাখে নির্বাচন কমিশন।
তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন দাখিলের শেষ সময় ৩১ ডিসেম্বর, মনোনয়ন ফরম যাচাই-বাছাই ২ জানুয়ারি। আর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৩০ জানুয়ারি।
রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল কর্তৃপক্ষের কাছে আপিল করা যাবে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারকে নিয়োগ করেছে নির্বাচন কমিশন।
৫৪টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ১৮টি সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ড নিয়ে ডিএনসিসি গঠিত। এ নির্বাচনে ১ হাজার ৩৪৯টি ভোটকেন্দ্রের ৭ হাজার ৫১৬টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মোট ৩০ লাখ ৩৫ হাজার ৬২১ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন।
ডিএসসিসিতে ৭৫টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ২৫টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড রয়েছে। এ নির্বাচনে ১ হাজার ১২৪টি ভোটকেন্দ্রের ৫ হাজার ৯৯৮টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মোট ২৩ লাখ ৬৭ হাজার ৪৮৮ ভোটার এ নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন।
২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন একযোগে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। উত্তরের মেয়র আনিসুল হক মারা গেলে উপ-নির্বাচন হয়েছিল চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি।
সিটি করপোরেশন আইন অনুযায়ী, করপোরেশনের মেয়াদ হচ্ছে প্রথম সভা থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর। আর ভোটের আয়োজন করতে হয় মেয়াদ পূর্তির পূর্ববর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে। সে অনুযায়ী, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়াদ শেষ হবে ২০২০ সালের ১৩ মে, দক্ষিণ সিটির মেয়াদ শেষ হবে ২০২০ সালের ১৬ মে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৯
ইইউডি/আরবি/