রোববার (৫ জানুয়ারি) রাতে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের সঙ্গে আচরণবিধি প্রতিপালন বিষয়ক এক সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
বিএনপি সমর্থিত মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়াল শনিবার (৪ জানুয়ারি) রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আতিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ করেন।
লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, ‘৪ জানুয়ারি শনিবার সকাল ৮টা থেকে ৯ টার মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরোশন নির্বাচন-২০২০ মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আতিকুল ইসলাম ঢাকা উত্তর নির্বাচনী এলাকার মধ্যে গুলশান-১ এলাকার গুলশান পার্কে দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে একটি নির্বাচনী মঞ্চ করে, মাইক এবং সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করে নিজের পক্ষে ভোট প্রার্থনা করেন ও কর্মীদের ভোটারদের কাছে যাওয়ার জন্য দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন, যা সিটি করপোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর স্পষ্ট লঙ্ঘন ও গর্হিত অপরাধ বটে। ’
এ ঘটনায় তিনি ওই অভিযোগপত্রে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদনও জানান।
রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাসেম বলেন, বিএনপির প্রার্থীর আবেদনের ভিত্তিতে একজন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে বিষয়টি তদন্ত করে আগামী ৭ জানুয়ারি প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছি। প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ‘রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বলেছি, যেন তাকে শোকজ করা হয়, যেন তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, কেন এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে, কেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। ’
তবে বিষয়টি নিয়ে আবুল কাসেম বলেন, শুনলাম নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম স্যার বলছেন তাবিথ আওয়াল যে অভিযোগটা করেছেন সে বিষয়ে শোকজ করতে। আমি কমিশন থেকে লিখিতভাবে কোনো কিছু পাইনি। কমিশন বা সরকারি অফিস চলে লিখিতভাবে, কথায় চলে না। নথিতে চলে বা লিখিতভাবে। তাবিথ আউয়াল অভিযোগটা দিয়েছেন আমার কাছে। উনি তো কমিশনের কাছে অভিযোগ দেননি। বিষয়টি আমি এটি তদন্ত করতে দিয়েছি। এ ব্যাপারে কমিশন আমাকে কিছু বলেওনি।
তিনি বলেন, এ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনরত ম্যাজিস্ট্রেটদের প্রতিদিন রাত ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলেছি। তারা প্রতিদিন প্রতিবেদন দেবেন বলে জানিয়েছেন। ম্যাজিস্ট্রেটদের বলেছি আপনারা দৃশ্যমান থাকবেন। কোনো ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যাবেন। একজন ম্যাজিস্ট্রেট তিনটি ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালন করেন। এক্ষেত্রে এক ওয়ার্ড থেকে অন্য ওয়ার্ডে যেতে তাদের সমস্যা হয়- এটা ওনারা বলেছেন।
আবুল কাসেম বলেন, অনেক সময় দেখা যায় অনেকেই মিথ্যা অভিযোগ দেন। তাই কেউ আমাদের কাছে অভিযোগ দিলে যেন সত্যি অভিযোগ দেন।
ফেসবুকে নির্বাচনী প্রচারণার বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের আচরণবিধির বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। আমরা আচরণবিধিতে যা আছে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবো।
ঢাকা সিটির ভোট অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩০ জানুয়ারি। বর্তমানে আপিল কার্যক্রম চলছে। ৯ জানুয়ারি প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়। ১০ জানুয়ারি প্রতীক বরাদ্দ হবে। সেদিন থেকেই প্রচার কাজে যেতে পারবেন প্রার্থীরা।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০২০
ইইউডি/এএ