ইসি সচিব বলেন, স্কুল বা কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা বলেছেন, এটা নিয়ে সমস্যা নেই।
মো. আলমগীর বলেন, 'পূজা হলো ২৯ জানুয়ারি। নির্বাচন হবে ৩০ জানুয়ারি। কোনো দ্বন্দ্ব নেই। তারপরও কোর্টে একটা মামলা করেছে তারা। সেখানে তারা হেরে ফের আপিল করেছেন। আপিলে রোববার (১৯ জানুয়ারি) শুনানি হবে। আমরা আইনজীবী নিয়োগ করেছি। আদালত যে নির্দেশনা দেবেন তা আমরা মেনে নেবো। '
সচিব বলেন, 'কতগুলো স্কুলে পূজা হয়, তার একটি খসড়া তালিকা পাওয়া গেছে। একটা পরিসংখ্যান আমরা নিয়েছি। উত্তর সিটিতে ১৩১৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পূজা হয়। ১১৫০টি কেন্দ্রের মধ্যে দক্ষিণে ২৬টি প্রতিষ্ঠানে পূজা হয়। '
এই পরিসংখ্যানের শতকরা হিসেবে দেখা যায়, উত্তরে ২ দশমিক ০৫ শতাংশ এবং দক্ষিণে ২ দশমিক ২৬ শতাংশ কেন্দ্রে পূজা হবে। আর দুই সিটিতে ২ হাজার ৪৬৮ কেন্দ্রের মধ্যে পূজা হবে ৫৩ টি কেন্দ্রে। অর্থাৎ ২ দশমিক ১৫ ভোটকেন্দ্রে পূজা হবে।
একসঙ্গে ভোট হলে বিকল্প চিন্তা আছে কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'এটাও তথ্য নেওয়া হয়েছে পূজা তারা কোথায় করে। যেমন অগ্রণী বালিকা বিদ্যালয়ে কথা বলা হয়েছে-এটা তারা করে তাদের অডিটরিয়ামে। এটা বেশ বড় স্কুল, তাই সব রুম নির্বাচনের জন্যও লাগবে না। পূজার জন্য তো লাগবেই না। অতএব, পূজা যেদিকে হবে, তার থেকে দূরত্ব থেকে ভোটগ্রহণ করা হবে। যেন নির্বাচনের জন্য পূজার সমস্যা না হয়। পূজার জন্য নির্বাচনের সমস্যা না হয়। স্কুল বা কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা বলেছেন, এটা নিয়ে সমস্যা নেই। '
তিনি বলেন, পূজা কিন্তু ২৯ জানুয়ারি। হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেকের সঙ্গেই আমাদের কথা হয়েছে। তারা বলেছেন, পূজা ২৯ তারিখেই শেষ। তাদের মধ্যে কেউ কেউ মনে করেন, পূজা ৩০ পর্যন্ত একটা সময় আছে। ১১ টা পর্যন্ত লগ্ন আছে। '
তিনি বলেন, 'আন্দোলনরত ছাত্রদের অনুরোধ করবো তারা যেন কোনো বিভ্রান্তির কবলে পড়ে রকম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করে, লেখাপড়ায় মনোযোগ দেয়। কারণ এটা দেখার জন্য দেশের অনেক যোগ্য ব্যক্তি আছেন। আদালত রোববার আপিলের রায় দেবেন। কাজেই ছাত্রদের এটা নিয়ে সময় নষ্ট করা উচিত নয়। '
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২০
ইইউডি/ওএইচ/