মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
আতিকুল ইসলাম বলেন, অনলাইনের মাধ্যমে হোল্ডিং ট্যাক্স, ট্রেড লাইসেন্সসহ সব কাজ সম্পন্ন করতে হবে।
তিনি বলেন, আমি যখন অটোমেশন করতে চাইলাম। তখন অনেকেই আমাকে বললো, সিটি করপোরেশনে এটা কখনো সম্ভব নয়। তখন আমি বললাম কেন সম্ভব নয়। কেন হবে না। এর কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখলাম সিটি করপোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে ফেস টু ফেস না বসলে ট্যাক্স জমা হয় না। আমি খুঁজে দেখলাম এর মূল হোতা রশীদ নামে এক কর্মকর্তা যতো ট্যাক্স নেয় তার ৫০ শতাংশ নিজের পকেটে আর ৫০ শতাংশ সিটি করপোরেশনের সরকারি কোষাগারে জমা করে। খাতাপত্র ঘেটে দেখা গেল, এ রশিদের ঢাকায় নয়টি বাড়ি। একটি পলিটিক্যাল পার্টির বড় ডোনার। আমি যখন রশিদের চাকরি খেতে যাই তখন অনেকেই বলেছে তার সিন্ডিকেট অনেক বড়। এর কিছু করা যাবে না। আমি তখনই প্রধানমন্ত্রীকে ম্যাসেজ দেই। প্রধানমন্ত্রী ফিরতি ম্যাসেজে বলেন ওয়েল ডান। এভাবেই রশিদকে সিটি করপোরেশন থেকে বহিষ্কার করেছি।
আতিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের এ ঢাকা শহর একটি অপরিকল্পিত শহর। আমরা বিদেশে দেখেছি কীভাবে একটি প্ল্যান করে আরবানাইজেশন করে। কিন্তু আমাদের দেশে সেটা নেই। আমি নয় মাস দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে একটি দিনও সময় নষ্ট করিনি। আমি নগর পিতা হিসেবে নয়, নাগরিক সেবক হিসেবে কাজ করেছি।
তিনি বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরপর এক কলেজছাত্র সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে। একদিকে সড়কে আন্দোলন চলছিল। তারপরে সামনে এলো ডেঙ্গু সমস্যা।
আতিকুল ইসলাম বলেন, ডেঙ্গু নিয়ে যখন কাজ করছিলাম। তখন সিটি করপোরেশনে কমিটির তথ্য বিভাগ ছিল না। মশা নিয়ে কোনো গবেষণা হতো না। আমরা সেটা চালু করলাম। তারপর মশার ওষুধ দিচ্ছে সেটা মনিটরিং করার জন্য কেউ ছিল না। আমরা তৃতীয় পক্ষের দ্বারা সেটাও করার চেষ্টা করেছি।
তিনি বলেন, নৌকার কোনো ব্যাক গিয়ার নেই। নৌকার গিয়ার একটি। সেটি হচ্ছে উন্নয়নের গিয়ার। নৌকা দিয়েছে স্বাধীনতা। নৌকা দেবে উন্নয়ন। নৌকা দেবে সুস্থ, সচল ও আধুনিক ঢাকা। নৌকা এগিয়ে যাবে।
আতিকুল ইসলাম বলেন, প্রেসক্লাব সবার জন্য উন্মুক্ত। এখানে আমি আসবো, আমার প্রতিদ্বন্দ্বী আসবে, আরও অনেকে আসবে। আমার ভোট আমি দেবো, যাকে খুশি তাকে দেবো। এ নির্বাচনে একটি সুন্দর পরিবেশে ভোট হবে। নির্ভয়ে সবাই আসবেন। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে। আমি সবাইকে অনুরোধ করবো যেন ভোট দিতে আসেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- সাংবাদিক শ্যামল দত্ত, সাংবাদিক নেতা ইকবাল হোসেন সোবহান, সাইফুল আলম, শফিকুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ, মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, শাবান মাহমুদ, রফিকুল ইসলাম রতন, সোহেল হায়দার চৌধুরী প্রমুখ
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২০
পিএস/আরবি/