শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনী প্রচারণার যে আমেজ ছিলো, তা থেকে শুরু করে এখনো পর্যন্ত মানুষ যেভাবে উৎসাহ, উদ্দীপনায় ভোট দিচ্ছে, তাতে দেখা যাচ্ছে অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে নির্বাচনী পরিবেশ ভালো রয়েছে।
মোহাম্মদপুরে নির্বাচন কভার করার সময় একজন সাংবাদিক আহত হওয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এটি সম্পূর্ণ অনভিপ্রেত, অত্যন্ত দুঃখজনক, কোনোভাবেই সমীচীন নয় এবং আমরা এটি সমর্থন করি না। কীভাবে তিনি আহত হলেন, নির্বাচন কমিশন, আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
সকালে কিছু কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম এবং আওয়ামী লীগ কর্মীদের উপস্থিতি বেশি ছিলো? এমন প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, শুরু থেকেই আওয়ামী লীগ কর্মীরা যে সক্রিয় প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছে, তাতে আমাদের প্রার্থীরা প্রচারের দিক দিয়ে অনেক এগিয়ে। আর শীতের দিন ও বন্ধের দিন সকাল আটটায় উপস্থিতি কম হওয়াই স্বাভাবিক। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতিও স্বাভাবিকভাবেই বেড়েছে এবং এখনো বেশ কয়েক ঘণ্টা বাকি আছে। আমি আশা করবো, সবাই যে যেখানে আছেন, ভোট দিয়ে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করবেন। আর ইভিএম মেশিন নিজেই পোলিং এজেন্টের মত কাজ করে, ফিঙ্গারপ্রিন্ট-পরিচয় সঠিক মিললেই কেবল ভোট দেওয়া যায়। সুতরাং আওয়ামী লীগের যত কর্মীই থাকুক, ভোটে অনিয়মের কোনো সুযোগে নেই। অন্যদিকে বিএনপি কর্মীদের অনুপস্থিতি তাদের সাংগঠনিক দুর্বলতারই পরিচয় এবং নেতাদের কথাবার্তায় তারা হতাশ।
বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলেও তাদের আসল উদ্দেশ্য কী? এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, প্রথমে আমি তাদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ দেই। কিন্তু তারা সেই নির্বাচনকেই প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা করেছে, বারবার বিদেশি কূটনীতিকদের কাছে ধর্ণা দিয়ে কূটনীতিকদের শিষ্টাচার লংঘনের অবস্থা তৈরি করে দিয়েছে। সুতরাং তাদের উদ্দেশ্য নির্বাচন নয়, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত করা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২০
এএটি