শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) এভাবে ক্ষোভপ্রকাশ করছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের সাতারকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটার শান্তি রানি।
এলাকায় তিনি ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
বেলা বাড়ার সঙ্গে ভোটার সংখ্যা বিপুল পরিমাণ বাড়তে থাকে কেন্দ্রে কেন্দ্রে। সব ভোটারদের একই অভিযোগ হাতের ছাপ মেলে না। বেশি সমস্যা হচ্ছে নারী এবং বয়স্কদের। সকাল ১১টা থেকে সাতারকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে অবস্থান করছেন খোদেজা বেগম। তিনি সাতারকুল পুকুরপাড়ের বাসিন্দা। কয়েক ঘণ্টা হয়ে গেলো তিনি ভোট দিতে পারেননি। খাদিজা খাতুন বলেন, মেশিনে হাতের ছাপ আহে না ভোট দিবার পারি নাই। একই অভিযোগ সাতারকুল তালতলার বাসিন্দা শাহিনুর বেগমের।
তিনি বলেন, সকালে আসছিলাম ভোট দিতে পারিনি। ওরা পানি দিয়ে হাত ধুইয়া আইতে বলছে। সাবান দিয়ে পরিষ্কার করে হাত ধুয়েছি। তবু ভোট দিতে পারি নাই।
সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী কর্মকর্তারা বলেন, ভোট দিতে দেরি হচ্ছে। অনেকের আগের হাতের ছাপ আর বর্তমানে হাতের ছাপের অনেক পার্থক্য দেখা দিচ্ছে। বিশেষ করে নারীদের। কারণ তারা রান্নার কাজ করেন এজন্য অনেক সময় হাতের আঙুল কেটে যায়। আর অনেকের বয়সের ভারে হাতের আঙুলের ছাপের পার্থক্য দেখা দিয়েছে। ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের ১ হাজার ১৬১ নং ওয়ার্ডের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা আবুল কাশেম বলেন, ভোট ভালো হচ্ছে। তবে, অনেকের হাতের ছাপ মিলছে না। যাদের হাতের ছাপ মিলছে না তাদের অপেক্ষা করতে বলেছি। আমরা তাদের বলছি, হাত পরিষ্কার করে আসেন। এরপরও সমস্যা হলে বিকল্প ব্যবস্থা করছি।
এর আগে শনিবার সকাল ৮টায় ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি), চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এবার প্রথমবারের মতো বিভক্ত ঢাকার দুই সিটিতে একযোগে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। আর এটিই ইভিএমে সবচেয়ে বড় নির্বাচন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২০
এমআইএস/এএটি