শনিবার (০১ ফেব্রুয়ারি) রাতে ঢাকার দুই সিটির ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
সিইসি বলেন, ‘উভয় সিটিতে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
‘এজেন্ট বের করে দেওয়ার ব্যাপারে কোনো এজেন্ট অভিযোগ করেনি। যে এজেন্টকে বের করে দিয়েছে, আমি যেখানে গিয়েছি। সেখানে সবদলের এজেন্ট ছিল। আমি যেখানে ভোট দিয়েছি, সেখানে জিজ্ঞেস করেছি, সবার এজেন্ট উপস্থিত ছিল। ’
নূরুল হুদা বলেন, ‘ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার দায়িত্ব এজেন্টদের। আর ভোটকেন্দ্রে এজেন্টদের যদি বের করে দেওয়া হয়, আমাদের কাছে অভিযোগ করতে হবে। এ রকম অভিযোগ আমি পাইনি। নির্বাচন কমিশনে কেউ পায়নি। ’
সিইসি বলেন, ‘ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) যারা ভোট দিয়েছেন টিভি দেখেছি, কেউই অভিযোগ করেননি। এটা যে খারাপ কেউ সে কথা বলেননি। বলেছেন একটু জটিল, দেরি হয়েছে। অধিকাংশ লোক বলেছেন যে, ইভিএমে ভোট দিয়ে আমরা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেছি। এতে সঠিকভাবে ভোট দেওয়া সম্ভব হয়। আর ইভিএমে একজনের ভোট আরেকজন দিতে পারে না। একবার ভোট দিলে ওই লোক দ্বিতীয়বার আর ভোট দিতে পারে না। ’
তিনি বলেন, ‘কাগজে লেখা রেজাল্ট কখনো পাঠানো সম্ভব না। কখনো সেটা গ্রহণযোগ্য না এবং কেউ সেটা পাঠায়নি। ’
নূরুল হুদা বলেন, ‘ভোট ভালো হয়েছে। কোনো ভোটার ভোট না দিয়ে আসেনি। কোনো ভোটার বলেননি যে, ভোট দিতে গিয়ে আমি ভোট দিতে পারিনি। ’
‘পার্সেন্টেজ বোধ হয় ৩০ শতাংশের নিচে থাকবে। ওপরে যাবে না মনে হয়। ’
পল্টনের সংঘর্ষের ঘটনার বিষয়ে সিইসি বলেন, ‘পল্টনে যাওয়ার সময় কেন কীভাবে কী ঘটেছে তাতো বলতে পারবো না। এটা তদন্তের বিষয়। আইনশৃঙ্খলার বিষয়। ’
তিনি বলেন, ‘ফিঙ্গার প্রিন্ট রেখে ভোটার বের করে দেওয়ার কোনো অভিযোগ পাইনি। ’
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আপনার পদত্যাগ দাবি করেছে, আপনি কী পদত্যাগ করবেন-এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন না।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২০
ইইউডি/আরবি/