আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে মঙ্গলবার (০৪ জানুয়ারি) বিকেলে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে নির্বাচন ও গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ কি? এই প্রশ্নের সামনে আমাদের দাঁড় করিয়েছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন।
মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচন শেষ হওয়া পর্যন্ত যেভাবে আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে, তাতে আচরণবিধি রাখা না-রাখা সমান। আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগগুলো যাচাইয়ের কোনো লক্ষণ পরিলক্ষিত হয়নি। আচরণবিধি না মানা এবং এ বিষয়ে ব্যবস্থা গৃহীত না হওয়া ফ্রি-স্টাইল নির্বাচনের মূল উপাদান। ’
এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অস্বাভাবিক কম ভোট পড়া আমার কাছে স্বাভাবিক বলেই মনে হয়। এটা গণতন্ত্রের জন্য অশনিসংকেত হতে পারে, কিন্তু এটাই বাস্তবচিত্র। জনগণ নির্বাচন বা ভোটের প্রতি নিরাসক্ত হলে নানাপ্রকার ব্যাখ্যা বা অপব্যাখ্যা দিয়ে এই বাস্তব অবস্থার চিত্রটি খণ্ডন করা যাবে না। গণতন্ত্রকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য কর্তৃত্ববাদী শাসনের প্রয়োজন, কোনো কোনো বিজ্ঞজন এমন বক্তব্য রেখেছেন। কিন্তু গণতন্ত্র আপন মহিমায় বিকশিত ও উদ্ভাসিত হতে পারে, যদি অবাঞ্ছিত উপায়ে তাকে বন্দি করা না হয়। ’
তিনি আরো বলেন, ‘নির্বাচন ব্যবস্থা ব্যর্থ হলে ক্ষমতা হস্তান্তরের স্বাভাবিক পথ রুদ্ধ হয়ে যায়, সেই অবস্থা কোনোভাবেই কাম্য নয়। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে সব রাজনৈতিক দল আলোচনার টেবিলেই নির্বাচন ও গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে পারে। তা না হলে অনিশ্চিত গন্তব্যের পথে পা বাড়াবে বাংলাদেশ। ’
১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দুই সিটি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ভোট পড়ে ২৭ শতাংশ। উত্তর সিটিতে পড়েছে ২৫ দশমিক ৩০ শতাংশ আর দক্ষিণ সিটিতে ভোট ২৯ দশমিক ০৭ শতাংশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২০
ইইউডি/জেডএস