১। ক্রেইট বা শাঁখামুঠি (Common Krait): নীলচে ছাইরঙা গায়ে কালো ডোরা কাটা এই সাপ শান্ত।
২। খইয়া গোখরা বা দেশি কেউটে (Binocellate Cobra): এরা মানুষের খুব কাছাকাছি থাকে বা থাকতে ভালোবাসে। ফলে প্রায়ই মানুষের বাসাবাড়ি, উঠানে এদের পাওয়া যায়। বাংলাদেশে বিষাক্ত সাপের দংশনের বেশিরভাগই খইয়া গোখরার দংশন।
৩। পদ্ম গোখরা (Monocellate Cobra): মানুষের বসতবাড়ির আশপাশে, চাষের জমি, বনাঞ্চল বা ধানক্ষেতের আশপাশের ইঁদুরের গর্তে থাকতে ভালোবাসে। এরা লম্বায় প্রায় সাত ফুট পর্জন্ত লম্বা হতে পারে।
৪। শঙ্খচূড় (King Cobra): পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা বিষাক্ত সাপ কিং কোবরার মাত্র কয়েক মিলিলিটার বিষ প্রায় ২০ জন পূর্ণবয়স্ক মানুষকে মেরে ফেলতে পারে। এটি লম্বায় প্রায় ৫.৬ মিটার বা ১৯ ফিটের কাছাকাছি হয়। রং কালো, জলপাই রং বা ধূসর এ সাপটি চীন ও ভারতীয় উপমহাদেশের জঙ্গলে বসবাস করে। সুন্দরবনের গভীরে এ সাপের অস্তিত্ব দেখতে পাওয়া যায়। অন্য ছোট সাপ এদের প্রধান খাদ্য।
৫। শঙ্খিনী বা শাঁকিনী (Banded Krait): কালোর মধ্যে হলুদ ডোরাকাটা এই সাপ সিলেট, পার্ব্যত্য চট্টগ্রামের বনাঞ্চলে বসবাস করে। এরা ছয় ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে।
৬। চন্দ্রবোড়া (Russell’s Viper): বিশ্বব্যাপী এই সাপ রাসেল ভাইপার নামে পরিচিত। রাজশাহী ময়মনসিংহ ও সিলেটে এই সাপ বেশি পাওয়া যায়। শুষ্ক পরিবেশে বাসকারী এ সাপ এক থেকে দেড় মিটার লম্বা হয়। এরা অনেক উঁচু গাছ কিংবা দেয়ালও অতিক্রম করতে পারে।
৭। পাহাড়ি বোড়া (Mountain Pit Viper): সাধারণত বৃহত্তর ময়মনসিংহ ও সিলেটের পাহাড়ি বনাঞ্চলে এদের দেখা যায়। শুকনো ও ঠাণ্ডা জায়গা পছন্দ করে।
৮। পিট ভাইপার বা সবুজ বোড়া (white-lipped pit viper): সিলেট বিভাগ, পার্বত্য অঞ্চলের বনাঞ্চলে ও সুন্দরবনে এদের পাওয়া যায়। এ সাপের দংশনে মৃত্যুর খবর খুব কম পাওয়া যায়। সাধারণত চা বাগানে এ সাপ অধিক দেখা যায়।
৯। লাল-গলা ঢোঁড়া সাপ (Red-necked Keelback): এই সাপ লম্বায় সাধারণত ১ মিটারের ছোট হয়। এদের সুগঠিত বিষ দাঁত থাকে না। পেছন দিকের দাঁত বিষ দাঁত হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বিষ অন্য সাপের মতো নিউরোটক্সিক, হায়মোটক্সিক কিংবা সাইটোটক্সিক না হওয়ার কারণে বিষের এন্টি ভেনমও বিরল। তাই এই সাপে কামড়ালে মৃত্যু অনিবার্য। খাল, বিল বা পুকুরের আশপাশে এরা বসবাস করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৮
এএ