ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

ব্রোঞ্জযুগের পুরাকীর্তি উন্মোচন করছে ডকল্যান্ড জাদুঘর

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৯
ব্রোঞ্জযুগের পুরাকীর্তি উন্মোচন করছে ডকল্যান্ড জাদুঘর ব্রোঞ্জের হাতিয়ার

প্রাচীনত্বের দিকে মানুষের ঝোঁক চিরন্তন। বিশ্বের বড় বড় জাদুঘরে উঁকি দিলেই দেখা মেলে প্রাচীন সব পুরাকীর্তির। এসব দেখে প্রত্নতাত্ত্বিকরা ধারণা করেন বহুবছর আগে কেমন ছিল আমাদের এ পৃথিবী। আর তত্ত্ব না খুঁজে মুগ্ধ হতে যান যারা, তাদের অনুভূতিতে ধরা দেয় বৈচিত্র্যময় কোনো জগতের স্থিরচিত্র। 

একইভাবে, তিন হাজার বছর আগের ব্রোঞ্জযুগের পুরাকীর্তি রহস্য লোকসম্মুখে উন্মোচন করতে যাচ্ছে লন্ডনের ডকল্যান্ড জাদুঘর। যুক্তরাজ্যে আবিষ্কৃত তৃতীয় বৃহত্তম প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন এগুলো।

পুরাকীর্তিগুলো অজানা কোনো ঈশ্বরের অর্ঘ্য নিবেদনে ব্যবহার হতো বলে ধারণা এর আবিষ্কারকদের।  

আন্তর্জাতিক একটি গণমাধ্যম জানায়, ২০২০ সালের এপ্রিলে টেমস নদীর ধারে জাদুঘরের নির্দিষ্ট ভবনে স্থানান্তর করা হবে এগুলো। এখন পর্যন্ত ৪৫৩টি ব্রোঞ্জ নির্মিত হাতিয়ার ও নিত্যকার ব্যবহার্য জিনিসের সন্ধান পেয়েছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। ব্রোঞ্জের হাতিয়ারআবিষ্কৃত জিনিসগুলোর মধ্যে ব্রোঞ্জের অসংখ্য ছুরি, বল্লম, কুঠার পাওয়া গেছে। এমন অনেক নিদর্শন পেয়েছেন তারা যেগুলোর সঙ্গে আধুনিক কোনোকিছুর মিল নেই। প্রত্নতত্ত্ববিদদের ধারণা খ্রিস্টপূর্ব ৯০০-৮০০ বছর আগে নির্মিত হয়েছে এসব জিনিস।

কয়েকশ শতাব্দী পেরিয়ে গেলেও জিনিসগুলো মোটামুটি অক্ষত রয়েছে। তবে বেশকিছু পুরাকীর্তি একেবারেই ভেঙেচুরে গেছে। আশ্চর্যের বিষয়, ব্রোঞ্জনির্মিত এসব জিনিস এমনভাবে পাওয়া গেছে যেটি থেকে বুঝতে কষ্ট হয় না এটা কোনো গুপ্ত ভাণ্ডার ছিল। কেন তারা এসব লুকিয়েছিল, এই প্রশ্নের উত্তর হয়তো অজানাই থেকে যাবে। তবে কী লৌহযুগের কবলে হারিয়ে যেতে বসেছিল ব্রোঞ্জের হাতিয়ার?

যদিও কেউ বলছে, এটি কোনো কামারশালা ছিল তবে অনেক প্রত্নতাত্ত্বিকের কাছে এটি যৌক্তিক মনে হয়নি। তাদের ধারণা এটি কোনো ঈশ্বরের উপাসনালয়। তাই অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে লুকিয়ে রাখা হয়েছে জিনিসগুলো। তবে এ বিষয়ে জানতে হলে বিস্তর গবেষণার প্রয়োজন। ব্রোঞ্জের হাতিয়ারচলতি বছর শুরুর দিকে যুক্তরাজ্যের পূর্বাঞ্চলীয় হেভারিং শহরে সন্ধান মেলে ব্রোঞ্জযুগের এই প্রত্নস্থানটির। ব্রোঞ্জযুগ নিয়ে এখনো প্রত্নতাত্ত্বিকদের অনেক প্রশ্ন রয়ে গেছে। টুকরো টুকরো তথ্য পেলেও জানা যায়নি কেমন ছিল ব্রোঞ্জযগের মানুষেরা বা তাদের জীবন ব্যবস্থা।

জায়গাটি ব্রোঞ্জযুগের অনেক অজানা তথ্যের উত্তর দিতে পারবে বলে আশাবাদী এর আবিষ্কারকরা।

বাংলাদেশ সময়: ১০০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৯
কেএসডি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।