রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় পিঠা উৎসব উদযাপন পরিষদ ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির মাঠে শুরু হলো ১০ দিনব্যাপী ‘জাতীয় পিঠা উৎসব’। এ উৎসব চলবে ৩ মার্চ পর্যন্ত।
বিকেলে একাডেমির উন্মুক্ত মঞ্চে উৎসবের উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। এ সময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- মঞ্চসারথি আতাউর রহমান, নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থার সভাপতি মিনু হক, জাতীয় পিঠা উৎসব উদযাপন পরিষদের সভাপতি ম হামিদ, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার শাহ আলম প্রমখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পরিষদের আহ্বায়ক ও শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।
উৎসবে প্রায় ৫০টি স্টলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পিঠা শিল্পীরা প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত রকমারি পিঠার পসরা সাজিয়ে বসবেন শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে। ৪০টির মতো জেলার নানা রকমের বৈচিত্রময় স্বাদের বাহারি পিঠা ভোজন রশিকদের রসনায় জোগাবে ব্যতিক্রমী আনন্দ।
স্টলে স্টলে ঘুরে যেসব পিঠাগুলো দেখা গেছে, তার মধ্যে রয়েছে বকুল পিঠা, তালের পিঠা, মুগপাকন, ঝাল চাপড়ি, কলা পিঠা, মালপোয়া, পাতা পিঠা, সাবু পিঠা, নকশি পিঠা, মাশরুম পিঠাসহ হরেক রকম পিঠা। বাড়ি থেকে তৈরি করে আনা পিঠার পাশাপাশি অনেক স্টলেই হরেক রকম পিঠা তৈরি করা হচ্ছে।
শীতের শুরু থেকেই মহানগরে বিভিন্ন সংগঠনের আয়োজনে পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়, তবে জাতীয় পর্যায়ের এ উৎসবের আয়োজন যেমন ব্যাপক, পিঠার সম্ভারও তেমনি বৈচিত্রময়। প্রায় ২০০ রকমের পিঠা এসেছে উৎসবে। এবার আয়োজনের বৈশিষ্ট্য হলো, সারাদেশের বিভিন্ন জেলার ঐতিহ্যবাহী পিঠাগুলো আনা হয়েছে। স্টল দেওয়া হয়েছে এলাকার ভিত্তিতে।
জাতীয় পিঠা উৎসব আয়োজনে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কোম্পানি লিমিটেড।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২০
এইচএমএস/আরবি/