ঢাকা, শনিবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

ইতিহাসের এই দিনে

বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদের জন্ম

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২০
বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদের জন্ম

ঢাকা: ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার আশীর্বাদ-অভিশাপ।

ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সব সময় গুরুত্ব বহন করে। এ গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।

২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ বুধবার। ১৩ ফাল্গুন ১৪২৬ বঙ্গাব্দ। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনা
১৭৯৭- ব্যাংক অব ইংল্যান্ড প্রথম এক পাউন্ডের নোট প্রচলন করে।
১৮৪৮- দ্বিতীয় ফরাসি প্রজাতন্ত্র স্থাপিত।
১৮৭০- নিউইয়র্কে প্রথম সাবওয়ে লাইন খুলে দেওয়া হয়।
১৮৭১- ফ্রান্স-জার্মানির মধ্যে ভার্সাই চুক্তি স্বাক্ষর।
১৯৫২- যুক্তরাজ্য পারমাণবিক বোমা তৈরির ঘোষণা দেয়।

জন্ম
১৮০২- ফরাসি সাহিত্যিক, রাজনীতিবিদ এবং মানবাধিকারকর্মী ভিক্টর হুগো।
১৯০৮- বাঙালি সাহিত্যিক লীলা মজুমদার।
তার প্রথম গল্প লক্ষ্মীছাড়া ১৯২২ সালে সন্দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। তিনি ১৯৬৩ থেকে ১৯৯৪ পর্যন্ত সাম্মানিক সহ-সম্পাদক হিসেবে সন্দেশ পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তার কয়েকটি উল্লেখযোগ্য রচনা হলো- ‘হলদে পাখির পালক’, ‘টং লিং’, ‘পদি পিসীর বর্মী বাক্স’, ‘সব ভুতুড়ে’ প্রভৃতি। পাকদণ্ডী নামে লেখা আত্মজীবনীতে তার শিলংয়ে ছেলেবেলা, শান্তিনিকেতন ও অল ইন্ডিয়া রেডিওর সঙ্গে তার কাজকর্ম, রায়চৌধুরী পরিবারের বিভিন্ন মজার ঘটনা ও বাংলা সাহিত্যের মালঞ্চে তার দীর্ঘ পরিভ্রমণের কথা বর্ণিত হয়েছে। তিনি অনেক শিক্ষামূলক রচনা ও রম্যরচনা ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদও করেছেন। তিনি আনন্দ পুরস্কার, শিশুসাহিত্য পুরস্কারসহ বহু সম্মাননা লাভ করেছেন। ২০০৫ সালের ৫ এপ্রিল তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

১৯০৯- জর্ডানের দ্বিতীয় বাদশাহ তালাল বিন আবদুল্লাহ।
১৯৩৬- একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখ।
মুক্তিযুদ্ধে চরম সাহসিকতা আর অসামান্য বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ যে সাতজন বীরকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ উপাধিতে ভূষিত করা হয় তিনি তাদের অন্যতম। ১৯৩৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি নড়াইল জেলার মহিষখোলা গ্রামের এক দরিদ্র পরিবারে নূর মোহাম্মদ জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মোহাম্মদ আমানত শেখ, মা জেন্নাতুন্নেসা। অল্প বয়সে বাবা-মাকে হারানোর ফলে শৈশবেই ডানপিটে হয়ে পড়েন। সপ্তম শ্রেণির পর আর পড়াশোনা করেননি। ১৯৫৯ সালের ১৪ মার্চ পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলস বা ইপিআরে যোগদান করেন। দীর্ঘদিন দিনাজপুর সীমান্তে চাকরি করে ১৯৭০ সালের ১০ জুলাই নূর মোহাম্মদকে দিনাজপুর থেকে যশোর সেক্টরে বদলি করা হয়। এরপর তিনি ল্যান্স নায়েক পদে পদোন্নতি পান। ১৯৭১ সালে যশোর অঞ্চল নিয়ে গঠিত ৮ নং সেক্টরে স্বাধীনতা যুদ্ধে যোগ দেন। যুদ্ধ চলাকালে যশোরের শার্শা থানার কাশিপুর সীমান্তের বয়রা অঞ্চলে ক্যাপ্টেন নাজমুল হুদার নেতৃত্বে পাক হানাদারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন।

মৃত্যু
১৯৬৬- ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামী নেতা বিনায়ক দামোদর সাভারকর।
২০০৫- বাংলাদেশি লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায়।
তিনি মুক্তচিন্তার আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। একুশে বইমেলা থেকে বের হওয়ার সময় অজ্ঞাতপরিচয় সন্ত্রাসীরা তাকে কুপিয়ে হত্যা ও তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাকে আহত করেন।

বাংলাদেশ সময়: ০০০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২০
টিএ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।