স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের (এইচইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাসুদুল আলম বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) হাসপাতাল প্রাঙ্গণে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের একথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে।
মো. মাসুদুল আলম বলেন, হসপাতাল তাঁবুর মধ্যে হলেও আধুনিক হাসপাতালে যত সুবিধা থাকার দরকার হয়, সব ধরনের ব্যবস্থা আমরা রেখেছি। অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা, রোগীদের জন্য বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা, ডাক্তারের চেম্বারের সঙ্গে জীবাণুমুক্তকরণ ব্যবস্থাসহ সব ব্যবস্থাই থাকছে। শুধু বাংলাদেশ নয়, দক্ষিণ এশিয়ার জন্যও এই হাসপাতাল উদারহরণ হতে পারে। এত বড় একটা হাসপাতাল করতে গিয়ে আমরাও চিন্তা করে পারিনি যে, এত কম সময়ের কীভাবে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হলাম।
তিনি বলেন, আইসিইউ ব্যয়বহুল, তবু চিন্তা-ভাবনার পর সচিব মহোদয়, মন্ত্রী মহোদয় সিদ্ধান্ত দিয়েছেন আইসিইউ করা হবে। ৭১ সিটের আইসিইউ করা হবে। আমার ধারণা যে হার্ডলি এক সপ্তাহের মধ্যে হয়ে যাবে। এখন কাজ শুরু হয়ে গেছে।
‘দুই হাজার বেডের হাসপাতালের জন্য একটা ম্যানেজারিয়েল সেটআপ দরকার। একজন ডিরেক্টর থাকবেন। ডেপুটি ডিরেক্টর থাকবেন। তারপরে অনেক ডাক্তার-নার্স-স্টাফ থাকবেন। তাই এটাও কিন্তু রানআপ করতে একটু সময় লাগবে। সরকারের সদিচ্ছা আছে খুব অল্প সময়ে মধ্যে চালু করার। ’
তিনি বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন ৪ মে উদ্বোধন করার বিষয়ে। আমাদের চেষ্টা আছে ৪ তারিখের মধ্যেই শুরু করার। আইসিইউ ৭ দিনের মধ্যে প্রস্তুত হয়ে যাবে। ভেন্টিলেটর সেন্ট্রাল সিএমএইচডি সাপ্লাই দিচ্ছে। বুধবার (২৯ এপ্রিল) ডিরেক্টর হাসপাতাল বলেছেন, যে তাদের কাছে ভেন্টিলেটর আছে। সুতরাং, এটা কোনো সমস্যা নয়।
তিনি আরো বলেন, এখানে আলাদা আলাদা প্রবেশপথ থাকবে। লাল দরজা দিয়ে আক্রান্ত রোগী, ডাক্তার-নার্স-কর্মচারীরা গ্রে কালার দরজা দিয়ে ঢুকবেন। তাদের পিপিই চেঞ্জরুম আছে। সেখান থেকে হাসপাতালে ঢুকবেন। দায়িত্ব শেষ করার পর পিপিই চেঞ্জ করে ডিজইনফ্যাক্ট হয়ে আলাদা দরজা দিয়ে বের হয়ে যাবেন। হাসপাতালের পেছনেই ওয়েস্ট প্ল্যান্ট আছে। ওখানে বর্জ্য বায়োহ্যাজার্ড ব্যাগে থাকবে। উত্তর সিটি করপোরেশন এটা তাদের ডাম্পিং স্টেশনে নিয়ে ইনসিনেটরে পুড়িয়ে ফেলবে।
‘দেশ ও মানুষের কল্যাণে’ এই স্লোগানের আলোয় পথচলা বসুন্ধরা গ্রুপ করোনা ভাইরাসের এই দুর্যোগকালেও দেশ ও জাতির কল্যাণে এগিয়ে এসেছে। দেশে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী বাড়তে থাকায় সম্প্রতি সরকারকে আইসিসিবিতে পাঁচ হাজার শয্যার একটি অস্থায়ী হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেন দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান।
বসুন্ধরা গ্রুপের প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতির ভিত্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সেনাবাহিনীর একটি দল পরির্দশন করে পরবর্তী সময়ে এটাকে অস্থায়ী হাসপাতাল বা আইসোলেশন স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। কোভিড-১৯ বিপর্যয় শেষ না হওয়া পর্যন্ত এবং সরকারের যতদিন ব্যবহারের প্রয়োজন শেষ না হবে ততদিন আইসিসিবিকে ব্যবহারের জন্য দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০২০
ইইউডি/এএ