ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

বাংলাদেশের আইটি খাতের উন্নয়নে কাজ করবে রাশিয়া

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৮
বাংলাদেশের আইটি খাতের উন্নয়নে কাজ করবে রাশিয়া

ঢাকা:  বাংলাদেশের আইটি খাতে ১০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে রাশিয়া। দেশটির শীর্ষ আইটি প্রতিষ্ঠান ‘রাইট’ ‘ইউনিকম বাংলাদেশ’-র সঙ্গে যৌথভাবে সাইবার সিকিউরিটি, ই-গর্ভনেন্সসহ তথ্যপ্রযুক্তি খাতে কাজ করতে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

বুধবার (১২ এপ্রিল) রাতে রাজধানীর প্রগতি স্বরণির কনফিডেন্স সেন্টারে ইউনিকম বাংলাদেশ ও রাইটের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। রাশিয়ার রাইট এর প্র্যাকটিস ডিরেক্টর অ্যালেক্সি চুগোনব এবং ইউনিকম বাংলাদেশের সিইও মো. শাহিদ-উল-মুনীর নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।


 
এ চুক্তির আওতায় রাইট রাশিয়া বাংলাদেশের ব্যাংকিং সেক্টরে প্রযুক্তি নিরাপত্তা এবং সরকারের বিভিন্ন কাজে হাইটেক সুবিধার উন্নয়নে আইটি সল্যুশন হিসেবে কাজ করবে।
   
চুক্তি স্বাক্ষর শেষে রাইট এর প্র্যাকটিস ডিরেক্টর অ্যালেক্সি চুগোনব জানান, ‘বাংলাদেশের আইটি খাতে বড় বিনিয়োগের পরিকল্পনা করেছেন তারা। সরকারি আইটি সেবা উন্নতকরণ, বিভিন্ন জনসেবামূলক খাত ও প্রতিষ্ঠানকে প্রযুক্তির অধীনে আনা, স্মার্ট সিটি, শিক্ষা, ইন্স্যুরেন্স ও আইটি সেবা দিতে যাচ্ছেন তারা।
 
শিশুদের প্রোগ্রামিং, রোবোটিক প্রযুক্তি জ্ঞান এবং দেশের মানুষের আইটি খাত দক্ষতা বাড়াতেও প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন কাজ করবে তারা। তাদের দেশীয় পার্টনার হিসেবে বাংলাদেশে এসব বাস্তবায়ন করবে ইউনিকম বাংলাদেশ- বলেন অ্যালেক্সি।
 
ইউনিকম বাংলাদেশের সিইও মো. শাহিদ-উল-মুনীর বলেন, আইটি খাতে রাশিয়া অনেক উন্নত। আইটি নিরাপত্তার দিক দিয়েও তারা অগ্রসর। বাংলাদেশের ব্যাংকিং সেক্টর ও সরকারি ই-সেবা আরও উন্নতকরণ ও নতুন নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবে রাইট। রাইট বাংলাদেশে পোস্ট অফিস, পুলিশের বিভিন্ন প্রযুক্তিগত সুবিধার জন্য কাজ শুরু করবে।

এছাড়া শিগগিরই তাদের একটি টিম যেসব সেক্টরে কাজ করবে সেগুলো ঠিক করবে। এরইমধ্যে রাশিয়ার এ আইটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে ১০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ অনুমোদন করছে। যা বাংলাদেশের আইটি সেক্টরে উন্নয়নে ব্যয় হবে।

রাইট রাশিয়ার প্রথম সারির আইটি সল্যুশন কোম্পানি। বিশ্বব্যাপী ৭০টিরও বেশি দেশে তারা হাইটেক শিল্প পণ্য ও সেবার বিকাশ, তৈরি এবং রপ্তানি করে। এটি ই-গর্ভনেন্স, স্মার্টসিটি, উন্নত সাইবার নিরাপত্তা এবং এ আইটি সল্যুশন হিসেবে কাজ করে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৩
এসএ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।