সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি একথা জানায়।
১৫ দিনেরও কম সময় আগে আসামে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি প্রকাশ করা হয়।
মহারাষ্ট্রের নগর ও শিল্প উন্নয়ন করপোরেশন সূত্রের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানায়, নেরুল এলাকায় দুই থেকে তিন একর জমি চেয়ে পাঠানো একটা চিঠি কর্পোরেশন পেয়েছে। জনবসতি ও বাণিজ্যিক এ এলাকাটি মুম্বাই শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে। তবে দফতরের তরফ থেকে চিঠি দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে।
চলতি বছরের শুরুর দিকের নির্দেশিকা অনুযায়ী, ভারতের যে সমস্ত এলাকায় ‘অনুপ্রবেশকারী’ বেশি বাস করছে সেখানে ডিটেনশন সেন্টার (বন্দিশালা) তৈরির কথা বলা হয়।
সেজন্য মহারাষ্ট্রেও ডিটেশন সেন্টার তৈরির তোড়জোড়ই দেখা যাচ্ছে বলে জানাচ্ছে সংবাদমাধ্যম।
মুম্বাইয়ে ‘অবৈধ বাংলাদেশিদের বসবাস’ এবং কাজ করার অভিযোগ তুলে আসছে ক্ষমতাসীন বিজেপি জোটের অংশীদার শিবসেনা।
গত সপ্তাহে সংবাদসংস্থা এএনআইকে শিবসেনা নেতা অরবিন্দ সাওয়ান্ত বলেন, এলাকার প্রকৃত নাগরিকদের সমস্যার সমাধানে আসামে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি তৈরির প্রয়োজন ছিল। সেই কারণে আমরা এনআরসির পদক্ষেপকে সমর্থন জানাই। আমরা এখান থেকে বাংলাদেশিদের তাড়াতে মুম্বাইয়েও একই পদক্ষেপ চাই।
চলতি বছরের শুরুর দিকে রাজস্থানে লোকসভা নির্বাচনী প্রচারে বিজেপি নেতা ও বর্তমান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তার দেশে ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী’ অনুপ্রবেশকারী রয়েছে দাবি করেন এবং তাদের ‘উইপোকা’ বলে মন্তব্য করেন।
জুলাইয়ে রাজ্যসভায় অমিত শাহ বলেন, দেশের (ভারত) মাটির প্রতিটি ইঞ্চিতে থাকা অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করতে চায় সরকার।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) উত্তর-পূর্ব কাউন্সিল বৈঠকেও তিনি বলেন, একজন অবৈধ অনুপ্রবেশকারীকেও থাকতে দেওয়া হবে না। প্রত্যেকটি অবৈধ অনুপ্রবেশকারীকে তাড়ানো হবে।
আপাতত আসামে ডিটেনশন সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। গোয়ালপাড়া জেলায় ৩ হাজার লোকের ধারণক্ষমতাসম্পন্ন ১০টি ডিনেটশন সেন্টার তৈরি করছে রাজ্য সরকার, তার জন্য খরচ প়ড়বে ৪৬ কোটি রুপি।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১৯
এমইউএম/এইচএ/