সোমবার (১৮ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানায়।
খবরে বলা হয়, শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে সুরিফ গ্রামে ফিলিস্তিনিদের একটি বিক্ষোভ কভারেজ করছিলেন ৩৫ বছর বয়সী ফ্রিল্যান্স ফটো সাংবাদিক মুয়াথ আমারনে।
এ ঘটনার পর ‘মুয়াথের চোখ’, ‘সত্যের চোখ’, ‘মুয়াথ আমারনে’ -এমন বিভিন্ন হ্যাশট্যাগে অনলাইনে এ হামলার প্রতিবাদ শুরু হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে মুয়াথের ছবি, যেখানে তার বাম চোখ থেকে রক্ত ঝরতে দেখা যায়।
ডাক্তাররা জানান, মুয়াথের বাম চোখ রক্ষা করা সম্ভব হয়নি, অপারেশন করে তা অপসারণ করতে হয়েছে।
মুয়াথের সহকর্মীদের দাবি তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। কিন্তু, ইসরায়েলি বাহিনী জানায়, বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে তারা ‘কম বিপজ্জনক অস্ত্র’ ব্যবহার করছিল।
অন্যদিকে, মুয়াথ বলেন, আমি সাংবাদিকের স্পষ্ট আইডি কার্ড ও হেলমেট পরে এক পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলাম। তখন হঠাৎ কিছু একটা জোরে এসে আমার বাম চোখে আঘাত করে। আমি ভেবেছিলাম, সেটি রাবার বুলেট বা পাথর। আমি চোখের ওপর আমার হাত চেপে ধরে দেখি কিছুই নেই। পরে আমি কিছুই দেখতে পাচ্ছিলাম না, আমার বাম চোখ একদম শেষ হয়ে গেছে।
সোমবার ‘ফিলিস্তিন টিভি’তে রাত ৯টার সংবাদে দুই সংবাদ পাঠককে বাম চোখে ব্যান্ডেজ করে খবর পড়তে দেখা যায়। এছাড়া বিভিন্ন প্রখ্যাত সংবাদিক ও ফিলিস্তিনি কর্মীদের নিজেদের এক চোখ হাতে বা ব্যান্ডেজে ঢেকে রাখার ছবি আপলোড করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদ করতে দেখা গেছে। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি দখলদারিত্বের খবর কভারেজের সময় সংবাদকর্মীদের ওপর হামলা করে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ করার প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন তারা।
'দ্য ন্যাশনাল' পত্রিকার ডেপুটি ফরেন এডিটর ডেক মুর এক টুইটে বলেন, সত্যের চোখ কখনোই অন্ধ করা সম্ভব না। আজকে ফিলিস্তিনের কয়েক ডজন সংবাদকর্মী মুয়াথের চোখে গুলির প্রতিবাদ করেছেন। এ বছর ৬০ জনের ওপর এভাবে হামলা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৯
এফএম