ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

দিল্লির ‘মিশন সফল’ হওয়ায় কপিল মিশ্রের আনন্দ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২০
দিল্লির ‘মিশন সফল’ হওয়ায় কপিল মিশ্রের আনন্দ

মুসলিমবিরোধী বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে দিল্লির জাফরাবাদে জড়ো হওয়া নারী বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। আর তাতেই আনন্দ প্রকাশ করেছেন বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র। 

বিজেপি নেতা এই কপিল মিশ্রের বিরুদ্ধেই দিল্লি সহিংসতার মদদ যোগানোর অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ তার বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে বলেও জানা গেছে।

 

সমালোচকরা বলছেন, মিশন সফল হয়েছে বলেই কপিল মিশ্র উল্লাস প্রকাশ করছেন। একপক্ষের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে তিনিই ঘি ঢেলেছেন। মানুষের রক্ত ঝরলে তার তো কিছু আসে যায় না।   

বলিউডসহ ভারতের সচেতন নাগরিকরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দাবি জানিয়েছেন। এমনকি তার দলের নেতা সাবেক ক্রিকেট তারকা গৌতম গাম্ভীরও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।  

ভারতের গণমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, জাফরাবাদ মেট্রো স্টেশন আটকে সিএএর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছিলেন যে নারীরা, মঙ্গলবার রাতে তারা সেই স্থান ছেড়ে চলে গেছেন বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ। বুধবার সকাল থেকে স্বাভাবিক মেট্রো চলাচল শুরু হয়েছে। দিল্লি পুলিশের বিশেষ কমিশনার সতীশ গোলচা বলেন, জাফরাবাদ স্টেশন খালি করে চলে গেছেন বিক্ষোভকারীরা। পুরোপুরি খালি মৌজপুর চকও।

এই ঘটনায় খুশি বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র। দ্বিতীয় শাহিনবাগ রুখে দেওয়া গেছে বলে টুইটারে ভিডিও পোস্ট করেছেন তিনি। তার ভূমিকার জন্যই বিক্ষোভকারীরা চলে গেছে, এরকম টুইট রিটুইটও করছেন তিনি।

কপিল মিশ্র দাবি করেছেন, নাগরিকত্ব আইনের পক্ষে কথা বলে তিনি কোনো দোষ করেননি।  

গত সোমবার টুইটারে বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র বলেন, ‘ট্রাম্প দেশ ছাড়ার আগে রাস্তা খালি করান। এরপর আমাদের রাস্তায় নামতে হবে। তখন কিছু বলতে পারবেন না। ’ 

তার এই টুইটের পর থেকেই দিল্লিতে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। আর জাফরাবাদ থেকে বিক্ষোভকারীরা সরে যাওয়ায় তার আনন্দ প্রকাশের ভাষাই বলে দেয় তিনি এই সহিংসতার ইন্ধন যুগিয়েছেন।  

নাগরিকত্ব আইন পাস হওয়ার পর থেকেই দিল্লির শাহিনবাগে প্রতিবাদ বিক্ষোভ করছেন মুসলিম নারীরা। সেই ধারায় জাফরাবাদেও বিক্ষোভ করছিলেন সিএএ বিরোধীরা। কিন্তু সরকার সমর্থক গোষ্ঠী তাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে সহিংসতা ছড়িয়ে ফায়দা লোটার ধান্দায় ব্যস্ত। আর তার ফলেই দুই দিনে ঝরে গেল ২০টি প্রাণ।  

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে ফুঁসে ওঠা দিল্লিতে সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ২০ জন নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। দিল্লির একটি মসজিদে আগুন দিয়ে মিনারে হনুমানের পতাকা লাগানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২০
এজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।