ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

কাশিমপুর ও সিলেটে ফাঁসি কার্যকর হতে পারে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৭ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৭
কাশিমপুর ও সিলেটে ফাঁসি কার্যকর হতে পারে

ঢাকা: আইনি প্রক্রিয়ার প্রায় সব ধাপ শেষ। এখন রইলো বাকি শুধু রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার বিষয়টি। নিয়ম অনুসারে এ ধাপ শেষ হয়ে গেলে ফাঁসির দড়িতে ঝুলতে হচ্ছে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের শীর্ষনেতা মুফতি আব্দুল হান্নানসহ তিন জঙ্গিকে। অন্য দু’জন হচ্ছেন- শরীফ শাহেদুল বিপুল ও দেলোয়ার হোসেন রিপন।  

কারা সূত্রমতে, সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মুফতি হান্নান ও বিপুলকে গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে এবং রিপনকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে।

রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা না চাইলে বা চাওয়ার পর তা প্রত্যাখ্যাত হলে কারাবিধি অনুসারে প্রথম দু’জনের কাশিমপুরে এবং অন্যজনের সিলেটে ফাঁসির দণ্ড কার‌্যকর করা হতে পারে বলে জানিয়েছে উচ্চ পর্যায়ের কারা সূত্র।

দণ্ডপ্রাপ্ত এসব আসামির বিষয়ে জানতে চাইলে কারা অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক কর্নেল ইকবাল হাসান বাংলানিউজকে বলেন, সরকারের নির্দেশ অনুসারে এবং জেলকোডের বিধি অনুসারে রায় কার্যকরের প্রক্রিয়া চালানো হবে।  

মুফতি হান্নানসহ তিনজনের ফাঁসির রায়ের রিভিউ আবেদন খারিজের রায়ের অনুলিপি পেয়েছে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার। পাওয়ার পরপরই মঙ্গলবার (২১ মার্চ) সন্ধ্যায় অনুলিপির কপি কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার এবং সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের উদ্দেশে পাঠানো হয়েছে।  

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. জাহাঙ্গীর কবির বাংলানিউজকে বলেন, ‘মঙ্গলবার বিকেলেই রায়ের কপি পেয়েছি। কপি পাওয়ার পর নিয়ম অনুসারে যাচাই-বাছাই করে একটি কপি কাশিমপুর ও অন্য একটি কপি সিলেট কারাগারে পাঠিয়ে দিয়েছি’।

২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটের হযরত শাহজালালের (র.) মাজারে তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা হয়।

হামলায় আনোয়ার চৌধুরী, সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত এবং পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ তিনজন নিহত হন।

মামলার বিচার শেষে ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিচারিক আদালত ৫ আসামির মধ্যে মুফতি হান্নান, বিপুল ও রিপনকে মৃত্যুদণ্ড এবং মহিবুল্লাহ ও আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।

নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন করতে প্রয়োজনীয় নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি ২০০৯ সালে আসামিরা জেল আপিলও করেন।

প্রায় সাত বছর পর গত বছরের ০৬ জানুয়ারি এ মামলায় হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়ে ০৩ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়। বিচারিক আদালতের দণ্ড বহাল রেখে ১১ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।

গত বছরের ২৮ এপ্রিল হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়। ১৪ জুন রায় হাতে পাওয়ার পর ১৪ জুলাই আপিল করেন দুই আসামি হান্নান ও বিপুল। অপর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রিপন আপিল না করলেও আপিল বিভাগ তার জন্য রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী নিয়োগ করেন।

আপিলের শুনানি শেষে গত বছরের ০৭ ডিসেম্বর আসামিদের আপিল খারিজ  হয়ে যায়। গত ১৭ জানুয়ারি এ রায় প্রকাশের পর আসামিরা রিভিউ করেন। রোববার (১৯ মার্চ) দেওয়া রিভিউ খারিজের রায় মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়।

এ রায় সুপ্রিম কোর্ট থেকে মঙ্গলবারই ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সাত জায়গায় পাঠানো হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৭
এসজেএ/এএসআর

** ‘হার্ড কোর টেরোরিস্ট’
** রিভিউ খারিজের রায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে
** রিভিউ খারিজের রায় যাচ্ছে সাত জায়গায়
** এখন শুধু রায় শোনা ও রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা
** মুফতি হান্নানের রিভিউ খারিজের রায় প্রকাশ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।